নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর নবীগঞ্জ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিজ দলেরই নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় তার সাথে আহত হয়েছেন আরও ৩-৪ জন নেতাকর্মী।
জানাগেছে, বন্দর থানাধীন তিনগাঁও একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নবীগঞ্জ এলাকার টিপুর ওপর হামলা করে বন্দর থানা বিএনপির প্রায় অর্ধশতাধীক নেতাকর্মীরা। প্রথমে তারা লাঠিসোটা হাতে মারধর করে টিপুকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে টিপুর গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে গেলে তাকে আবারো ধাওয়া করা হয়। এসময় দৌঁড়াতে গিয়ে সড়কে পড়ে গেলে সেখানে আবার তাকে মারা হয়। এরপর আরো কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে দৌঁড়ে পালাতে সহযোগিতা করলে সে একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানেও তার ওপর হামলা চালানো হয়।
এরপর সেখান থেকে নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শহরের খানপুরে ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
এদিকে এ হামলার ঘটনার সাথে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা জড়িত বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বন্দরের বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল ও আবুল কাউসার আশারা জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন। আরও যারা যারা যুক্ত তাদের তথ্যও আছে। এ ব্যাপারে আইনগতভাবে এবং দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা সম্পর্কে চাচা ভাতিজা।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলায় বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলকে আসামী করা হয়। সে সময় মুকুল অভিযোগ করেছিলেন, তাকে আসামী করার পেছনে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর হাত রয়েছে। সেই ঘটনার মাত্র তিন দিনের মাথায় টিপুর ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটলো।