সিটি নিউজ: বন্দরে জাকির হোসেন (১৯) হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ যুবককে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুদূর বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার প্রাদিশিবপুর এলাকা ও বন্দর থানার আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার আজিজুল মিয়ার ছেলে শাহীন (১৯) ও কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার ঘালিলাবাদ এলাকার হরিপদ চন্দ্র ধরের ছেলে সুমন চন্দ্র ধর (২৪)।
এদিকে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ধৃত আসামী শাহীনের দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ হত্যাকান্ডের স্থান থেকে ১টি রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র (চাকু) ও চোরাইকৃত মিশুকগাড়ী ব্যাটারী বিক্রি নগদ ২৯’শ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ ধৃতদের বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদানের জন্য বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অমলি আদালত-৬ এ প্রেরণ করছে। এর আগে গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় বন্দর থানার কদম রসুল কলেজ মাঠপাড়া এলাকা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে ওই যুবক নিখোঁজ হয়। নিহত জাকির হোসেন লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার দিগলটারি গ্রামের দিনমজুর আলম বাদশা মিয়ার ছেলে।
বর্তমানে তারা বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের কদম রসুল কলেজ মাঠপাড়া এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া বলে জানাগেছে।এ ব্যাপারে গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের পিতা আলম বাদশা বাদী হয়েবন্দরে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১১(১২)২৩। এর আগে গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় উল্লেখিত এলাকা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে ওই যুবক নিখোঁজ হয়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত সোমবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী মহনপুর কবরস্থান সংলগ্ন একটি জমিতে অজ্ঞাত নামা লাশ দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে খবর পেয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, গ্রেপ্তারকৃত শাহীন ও সুমন চন্দ্র ধর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হত্যার দায় স্বিকার করে জবানবন্দি প্রদান করছে। সে সাথে পলাতক আসামী সিয়ামকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী শাহীনের দেখানো মতে হত্যাকান্ডেরস্থান থেকে ধারালো চাকু ও শাহীনের কাছ থেকে ব্যাটারী বিক্রি ১৭’শ টাকা ও সুমন চন্দ্র ধরের কাছ থেকে ১২’শ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।