ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বন্দরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক ও নাসিক সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার নেতৃত্বে বিশাল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ১৫ নভেম্বর বন্দর নবীগঞ্জ লতিফ হাজী মোড় থেকে বর্ণাঢ্য এ র্যালিটি বের করা হয়।
এদিকে এ র্যালিকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই মহানগরের পাড়া মহল্লা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে লতিফ হাজী মোড়ে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে আশার নেতৃত্বে বের করা হয় এক ঐতিহাসিক র্যালি। ধারনা করা হচ্ছে, মিছিলে কমপক্ষে পাঁচ সহস্রাধীক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ ছিলো।
র্যালিটি বের হওয়ার পর হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে গোটা বন্দর এলাকা। এছাড়া র্যালিতে বিভিন্ন রং বেরঙয়ের ফ্যাস্টুন, প্লাকার্ড ছাড়াও ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম নজরকাড়ে বন্দরবাসীর। পরে র্যালিটি বন্দরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আবুল কাউসার আশা বলেন, শহীদ জিয়া স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলো নেতাদের স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার চর্চা করা সুযোগ দিয়েছিলেন। আর বাকশাল সরকার গণমাধ্যম জিম্মি করে রেখেছিলেন। বিগত ফ্যাসিবাদি সরকার বাকশালীদের মত গণমাধ্যমে কন্ঠ চেপে ধরে ছিলেন। যারা ভিন্ন দলের রাজনীতি করতে তাদের বিরুদ্ধে হামলা মামলা গুম করা হয়েছে। আজকে নতুন বিপ্লব হয়েছে ৫ তারিখে, সেটা হলো ছাত্র-জনতার বিপ্লব। এর মাধ্যমে নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র রূপ নিয়েছে, আমরা সবাই বৈষম্যমুক্ত থাকবো।
আশা আরও বলেন, আমরা এখন কি দেখতে পারছি, আওয়ামীলীগের জয়েন্ট করা অনেক লোক এখন নব্য বিএনপি লুটতরাজে আখড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনাগুলো নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। বন্দরের এই (সোনাকান্দা) এলাকার এক নতুন দরবেশ বাবা আবির্ভাব হয়েছে। প্রথম ছিলেন জুত চোরা পরে হয়েছেন গরু চোর, বয়স বাড়া সাথে সাথে বর্তমানে হয়েছেন লোহা চোর। বড় বড় কথা বলেন, সেই চাইলে নাকি সব কিছু করতে পারে। সোনাকান্দা মার্টিতে এসে দাড়িয়েছি কিছু করতে পারে করেন, সোজা হেটেঁ যাবো। বিড়াল যারা বাঘের মুখোশ পড়ে হাটঁছেন, আপনারা মনে রাইখেন আমি শিকারী। এত সহজে ছাড় দেয়া হবে না। কোন অন্যায়, কোন অত্যাচার, কোন জুলুম আমার কোন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছেন ফ্যাসিবাদি সরকার আমলে যেভাবে দোসর হিসেবে চলেছেন এখন সেভাবে করছেন। ঘরে ঘরে মামলা দিচ্ছেন আপনারা যদি না শুদ্ধলাম শুধু দাতঁ ভাঙ্গা নয় হাত-পা ভাঙ্গা জবাব দিবো। আমাদের পরিবার ও আমাদের বিরুদ্ধে আর কোন বাজে মন্তব্য আর কোন মামলা দিচ্ছেন, তাহলে আপনাকে দেখার আছে। রাজনীতিতে শিষ্টাচার থাকা অনেক জুরুরী। রাজণীতিতে কোন মঞ্চ আছে, অশিক্ষিত মূর্খ’র মত কথা বলেন, আজকের মধ্যে এগুলো বন্ধ করেন। বিগত সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা মামলা দিয়ে যেভাবে আমাদের হয়রানী করেছে আপনারা সেভাবে করছে। পুলিশকে ব্যবহার করে মামলা দিয়ে আমাদের সাথে লড়াই করতে চাচ্ছেন। ১৭ বছর লড়াই করেছি, প্রয়োজনে আরো ১৭ দিন লড়াই করবো।