ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী বলেছেন, বেপর্দা, বেহায়াপনা ও নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ধর্ষণের জন্য অনেকাংশে দায়ী। প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় ধর্ষণের বিধান একপেশে। ধর্ষণ রোধে এ বিচার ব্যবস্থা কোনোভাবেই কার্যকর নয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী বলেন, যতই শাস্তির বিধান করি না কেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করি না কেন ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠিত না হলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবে সম্ভব হবে না। বিশেষ করে ধর্ষণের মতো জঘন্যতম অপরাধ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসির বিধান নিশ্চিত করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। অনেক অপরাধ আছে যে অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধার রয়েছে। তারপরও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ধর্ষণের মতো অপরাধ যে অপরাধে শয়তানের সর্বোচ্চ প্ররোচনা থাকে এমন অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যথেষ্ট নয়।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সংস্কার চাই। সংস্কার না হলে পেশী শক্তি ও কালো টাকার মালিক যারা আবারও নির্বাচিত হবে। আবারও দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে। সংস্কার করতে হবে নির্বাচনটাও দ্রুত সময়ে আয়োজন করতে হবে। নির্বাচন যতই বিলম্বিত হবে ফ্যাসিবাদীরা নতুনভাবে কোনো না কোনো সুযোগ খুঁজে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। আমরা বিশ্বাস করি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যত ধরণের সংস্কার দরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ করে করবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা আহ্বায়ক মাওলানা আবু সায়েম খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিআইটি পীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন ও দারুল উলুম মহিসুন্নাহ কওমি মাদরাসা মুহতামিম মাওলানা রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।