শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন ফ্রন্টের নতুন কমিটির আত্মপ্রকাশ

ঐক্যবদ্ধ থাকলে লাঙ্গলবন্দের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করা যাবে: গয়েশ্বর কন্যা অপর্ণা দাস রায়

মিলন বিশ্বাস হৃদয় / ৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

  • লাঙ্গলবন্দের ১শ ২২ কোটি টাকার হিসেব নেয়া হবে: সাখাওয়াত
  • হিন্দুদের ওপর আঘাতের আগে মহানগর বিএনপিকে আঘাত দিয়ে আসতে হবে: টিপু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কন্যা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রীমতি অপর্ণা দাস রায় বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সাথে আমার প্রাণের বন্ধন বলা যায়। একদিকে কেরানীগঞ্জ, অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ আবার একদিকে ঢাকার-৪ আসন (পোস্তগলা)। সেই দুই জায়গা মাঝখানে নারায়ণগঞ্জ। আমি সেই স্থান থেকে সব সময় চেষ্টা করেছি আপনাদের নারায়ণগঞ্জের মানুষের পাশে থাকার। তাই এবার হঠাৎ আমার কাছে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের দায়িত্ব নেয়ার জন্য আহ্বান আসে। আমি প্রথমে একটু দ্বিমত করেছিলাম। কারণ, এখানে নানা বাধা ও গ্রুপিং সৃষ্টি হচ্ছে। সেই গ্রুপিংয়ের কারণে গতকাল অব্দি নানা জায়গা থেকে চেষ্টা চালানো হয়েছে। আসলে দুস্কৃতিকারিদের কাজই হলো দুস্কর্ম করা। দুর্বৃক্তদের কাজই হচ্ছে অন্যের জায়গা দখল করা।

শনিবার (১৫ মার্চ ) দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জ বলদেব জিউর মন্দিরে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন ফ্রন্টের নতুন কমিটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অপর্ণা রায় বলেন, আজকে এ স্নাঘাট নিয়ে অনেক কথাই শুনলাম। এটা একটি আর্ন্তজাতিক তীর্থস্থান। বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে এসে তীর্থ করেন। এটা আমাদের জন্য, বাংলাদেশের জন্য গর্ব। আমরা বাংলাদেশীরা এটাকে সম্প্রীতির দেশ মনে করি।

গয়েশ্বর কন্যা বলেন, আমি দুর্নীতি কখনই পছন্দ করি না। এ তীর্থস্থানে পাপ মোচন করা হয়। সেখানে এসে যদি আপনারা কোটি কোটি টাকা লুট করে পাপ করা হয়, তাহলে এ কোন পাপ মোচন? তাহলে আমরাতো ঘরে বসেই এ তীর্থ করতে পারি। আমার মনই যদি অপবিত্র থাকে, আমার মনেই যদি পাপ থাকে যে, আমরা ধর্মীয় টাকা লুট করে খাবো তাহলে দরকার নেই এখানে কমিটি করা। আমি আপনাদের বলবো আমি আপনাদের পাশে তখনই থাকবো বা আছি, আপনারা যখন সৎ একটা নিষ্ঠা নিয়ে মনের পাপটাকে জেড়ে ফেলে দিয়ে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করবেন।

তিনি আরও বলেন, আপানারা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হলে অবশ্যই আমাদের সুবিধা হবে। সবাই মিলে যদি এগিয়ে যাই তাহলে লাঙ্গলবন্দের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবো। আপনাদের সবাইকে বলবো মতের পার্থক্য থাকবে হয়তো আপনাদের নিয়ে আমার আবারও বসতে হতে পারে। আমি দুদিনের মধ্যে ধর্ম উপদেষ্টার সাথে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে লাঙ্গলবন্দ নিয়ে বৈঠক করবো। আর এখানে ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের যে নামকরন করা হয়েছিলো, প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে সেটাকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে পশুরামের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো, এবারের লাঙ্গলবন্দ স্নান যেন স্মরনীয় হয়ে থাকে। এ স্নানে যেন তারা আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগীতা করে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, লাঙ্গলবন্দকে পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছ থেকে ১শ ২২ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিলো। এখানে দুই একটা ঘাট তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, এটা হিন্দু ধর্মের যারা দানশীল ব্যক্তি আছে তাদের টাকায় করা হয়েছে। কিন্তু ওই ১শ ২২ কোটি টাকা কোথায় গেলো তার কোন হদিস আমরা পাইনি। এই ১শ ২২ কোটি টাকার হিসেব কিন্তু হবে একসময়, এটা বের হবে। এ টাকা উদ্ধার করে লাঙ্গলবন্দের উন্নয়নেই ব্যয় করা দরকার। আমরা এ অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের কাছে অনুরোধ করি, এ টাকায় কোথায় ব্যয় হয়েছে তার তদন্ত করা হোক এবং তদন্তে যারা দোষি প্রমাণিত হবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হোক।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, গত ৫ আগস্টের পর এমন কোন মহল্লার এমন কোন হিন্দু বা সনাতন ভাইয়েরা বলতে পারবে না যে, বিএনপি তাদের পাশে ছিলো না। আমার মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং আমি নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি মন্দিরে ছুটে গিয়েছি হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের মনে সাহস দেয়ার জন্য। আপনারা কোন কান কথা শুনবেন না। কারণ, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছে যে, আপনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকবেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন দোকানে, কোন মন্দিরে বা বাড়ীঘরে যে হামলা না হয়। সেদিন শুধু আমরা না, অনেক ইসলামী দলও আপনাদের পাহারা দিয়েছে। আজও আমরা তথা মহানগর বিএনপি আপনাদের পাশে আছে। আপনারা যখনই আমাদের ডাকবেন দিন নাই রাত নাই, রাত ৩টা বাজলেও সাখাওয়াত ভাই এবং আমি ছুটে আসবো। নারায়ণগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যদি অপশক্তি আঘাত হানতে চেষ্টা করে, আগে মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের ওপর আঘাত দিয়ে তারপর আপনাদের আসতে হবে। এ দেশ আমাদের সকলের। এখানে আমরা সবাই মিলে মিশে থাকবো।

বক্তব্য শেষে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন ফ্রন্টের নতুন কমিটি তিন জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এঁরা হলেন, সভাপতি অর্পণা দাস রায়, সাধারণ সম্পাদক জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পী ও ননী প্রধান উপদেষ্টা গোপাল সাহা। তবে অচিরেই পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক ননী গোপাল সাহার সভাপতিত্বে ও বলদেব জিউর মন্দিরের সভাপতি জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর আবু কাউসার আশা, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ দাস, পরিতোষ সাহা, ননী গোপাল সাহা, শংকর সাহা, ভবানী শংকর রায়, অসিত বরণ বিশ্বাস, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বপন কুমার দাস, বলদেব মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রভাস সাহা, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমীর সরকার, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, অ্যাডভোকেট রাজীব মন্ডল, খোকন সাহা, শিবু দাস, গৌতম বণিক, ভোলা শংকর রায়, বিজয় কাব্য, অ্যাডভোকেট রঞ্জিত দে, সমীর কর্মকার, লাঙ্গলবন্দ পাঞ্চায়েত কমিটির রিপন দাস ঋষি, নয়ন সাহা, কার্ত্তিক ঘোষ, সুজন দাস, সমর সূত্রধর, জনি ভৌমিক, বিপ্লব কুন্ডু, অরবিন্দ দাস, জয় কৃষ্ণ, সুজন চক্রবর্তী, খোকন, লিটন সাহা প্রমূখ।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই