সাদপন্থীরা ভারতের এজেন্ট। তারা আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিস্টদের এজেন্ট। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, কেন ১৮ ডিসেম্বর চারজন মানুষ শহীদ হওয়ার পরও ওয়াসিফ, ওসামাদের বিরুদ্ধে কেন এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। শুধু মুয়াজ বিন নূরকে গ্রেপ্তার করে কি আমাদের শান্তনা দিচ্ছেন না আই ওয়াশ করছেন। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের গ্রেপ্তার করা হলো। অথচ এই ফ্যাসিস্টদের গ্রেপ্তার করা হলো না। আমাদের জোর দাবি হলো, অচিরেই সেই খুনি, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ের ৪টার দিকে জালকুড়িতে জেলা তাবলীগ মারকাজ মসজিদে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন নারায়ণগঞ্জ ওলামায়ে মাশায়েখ, তাবলীগ এর সাথী এবং সর্বস্তরের তাওহিদী জনতা। টঙ্গীর ইজতেমার ময়দানে গভীর রাতে মুসুল্লিদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ ওলামায়ে মাশায়েখ, তাবলীগ এর সাথী এবং সর্বস্তরের তাওহিদী জনতার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা বদরুল আলম সিলেটি, মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা তাজুল ইসলাম আব্বাস, মাওলানা জুনায়েদ আহমদ, মাওলানা মাহবুবুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ টঙ্গীর ইজতেমার ময়দানে মুসুল্লিদের উপর অতর্কিত হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জে সাদপন্থীদের সকল প্রকার কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ও সামাজিকভাবে তাদের বয়কটের দাবি জানান।
তারা বলেন, মাওলানা সাদ দাওয়াতুল তাবলীগের মূল ধারা ও নিয়ম থেকে লাইনচ্যুত হয়েছেন। তিনি এমন পথে চলছেন যা দাওয়াতুল তাবলীগের পথ নয়। তিনি ধারাবাহিকভাবে লেখাপড়া করে অভিজ্ঞ কোন আলেম নন। বিভিন্ন মাসায়েলে নিজের উক্তি পেশ করে ব্যক্ত করেছেন। তিনি বিভিন্ন মাসায়েল নিয়ে এমন উক্তি দিয়েছেন যা সাধারণ মানুষকে গোমরাহের দিকে ঠেলে দেয়। ২০১৮ সালের তার ভক্তরা আমদের পাঁচহাজার ছাত্র-শিক্ষাক ও দাওয়াতে তাবলীগের সাথীকে রক্তাক্ত করেছে। ২০২৪ সালের ১৮ তারিখে আবারও মুসুল্লিদের রক্তাক্ত করেছে। ওয়াসিফকে আপনারা সকলেই জানেন। সে ফ্যাসিবাদ হয়েছে। সে দাওয়াতুল তাবলীগের বিপরীতে নয়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্রকারীর মধ্যে একজন সে। বাংলাদেশে ইজতেমা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড়, ভারত এটা বরদাস্ত করতে পারছে না।