বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক সাংসদ জালাল উদ্দিন (জালাল হাজী) ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক দৌলত হোসেন খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ আছর বন্দর আমিন এলাকায় এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া।
দোয়াপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি জিয়া তার বক্তব্যে বলেন, ওসমান পরিবার ও তাদের সকল দোসরা বন্দরবাসীকে জুলুম করেছিলো। তারা কিন্তু আজকে দেশে নাই। তবে তাদের দোসররা আজও রয়ে গেছে। তারা সুযোগ খোঁজছে বিএনপির মধ্যে তথা আমাদের ভাইদের মধ্যে ষড়যন্ত্র করে যুদ্ধ বাধানোর জন্য। আমরা কখনই এ সুযোগগুলো দেবো না।
তিনি বলেন, আমরা সকলে দীর্ঘ ষোলটি বছর নির্যাতিত হয়েছি। আমাদের রক্ত গেছে, আমরা মামলা খেয়েছি, আমরা হামলার শিকার হয়েছি, আমরা জেল খেটেছি। এ কথা যদি ভুলে যান তাহলে কিন্তু চলবে না। এই আওয়ামী লীগ যারা ছাত্র-জনতাকেও হামলা করেছিলো তাদের একেক জনকে খুঁজে খুঁজে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
জিয়া বলেন, এ অফিসটা করা হয়েছে জনকল্যানের জন্য। সামাজিক সকল কর্মকান্ড বিশেষ করে এ এলাকার সকল মানুষের পাশা দাঁড়ানোর জন্যই এ অফিসটা খোলা হয়েছে। এলাকার মানুষের সকল সুখ দু:খ এ অফিসের নেতৃবৃন্দরা সমানভাবে ভাগ করে নেবে, এটাই আমি আশা করি।
জাকির খান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার প্রাণপ্রিয় নেতা জাকির খান আপনাদের সালাম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন বন্দরে কোন চাঁদাবাজ থাকবে না। কোন চাঁদাবাজ, কোন সন্ত্রাস, কোন মাদক ব্যবসায়ী জাকির খানের লোক হতে পারে না। বিগত আমলে যারা এ এলাকায় চাঁদাবাজী-সন্ত্রাসী করেছে, মাদক ব্যবসা করেছে। সাবধান হয়ে যান। এসব আর চলবে না। ভালোভাবে চলতে পারলে চলবেন, নয়তো আপনাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হবে। কোন ছাড় পাবে না।
বক্তব্য শেষে সাবেক সাংসদ জালাল উদ্দিন (জালাল হাজী) ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক দৌলত হোসেন খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাও দোয়া করা হয়।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজনের সভাপতিত্বে ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো: ফাহাদ পাঠানের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দিদার খন্দকার, মহানগর কৃষকদল নেতা আল আমিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহীন আহমেদ, মো: মোজাম্মেল, আনোয়ার গাজী, মো: আলী, আল আমিন, জনী দেওয়ান, শাহিনুর ইসলাম সুমন ও মো: ওয়াসিম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা যুবদল নেতা বাবু, বন্দর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল আহাদ লিটন, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুমন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, জুম্মান পাঠান, রাসেল, পাবেল, রাজিব, মামুন, শাওন, সোহান, কিমন, রনি, নিজু, শরীফ প্রমূখ।