নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খানের মুক্তি দাবিতে মাঠে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। রোববার (১১ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের ২নং রেলগেটস্থ জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে জাকির খানের মুক্তি দাবিতে হাজার হাজার মানুষ খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হয়। এরপর সেখান থেকে বের করা হয় একটি বিশাল মিছিল। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ (চাঁনমারী) লিংক রোড প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশ থেকে জাকির খানকে আগামী তারিখে মুক্তি না দিলে আদালত ঘেরাও করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়। এ ছাড়াও সমাবেশে বক্তারা হুশিয়ার দিয়ে বলেন, আমাদের নেতা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যারা জাকির নাম বিক্রি করে অপকর্ম করবে, চাঁদাবাজি, লুন্ঠন বা দখলদারিত্ব করবে, তাদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা। জাকির খানের নাম বিক্রি করে অপকর্ম করলেই সাথে সাথে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিবেন।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদি অবৈধ সরকারের পতনের পর সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। এসমস্ত কাজের সাথে বিএনপি বা জাকির খানের কেউ জড়িত নয়। জাকির খান নারায়ণগঞ্জের সব চেয়ে জনপ্রিয় বিএনপি নেতা। তিনি আমাদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, আমাদের এখানে যারা সংখ্যালঘু আছে, যত মন্দির ও গীর্জাসহ তাদের উপসনালয় আছে, সেগুলোকে পাহারাদার হয়ে রক্ষা করা। ছাত্র-জনতার বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি, সে অর্জনকে ধ্বংস করে দিতে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবে। তাই কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে আমাদের উপর দায় চাপিয়ে না দিতে পারে সেদিকে আমরা খেয়াল রাখবেন এবং সে বিষয়ে আপনারা সবাই সব সময় সজাগ ও সর্তক থাকবেন।
মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা খোকেন, মো: শাহজাহান, মো: নাসির, মো: সেন্টু, সদস্য মো: মহিউদ্দিন, মো: আহম্মদ হোসেন, সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, যুবদল নেতা সনেট আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এইচএম হোসেন, জাকির খান মুক্তি পরিষদ নেতা আমিনুল ইসলাম, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ, লিমন ভূঁইয়া, এলকে রনী, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুন্সী মোহাম্মদ শাহজালাল, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সলিমুল্লাহ্ হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ শুভ, বন্দর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হাসান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মো: রুবেল, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি এজাজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: রাসেল বেপারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সালেহ্ আহমেদ রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক দাদা সুমন, মো: খোকন সরদার, পরিবহন শ্রমিক দল নেতা মো: সুমন, টুক্কু হাসান, জামাই মনির, আয়নাল, মাহি ও শামীমসহ আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের নেতৃবৃন্দ।