ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান বেকসুর খালাস পাওয়ায় আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া, বিশেষ দোয়া মাহফিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারী) বাদ আসর শহরের চাঁনমারি রেললাইন জামে মসজিদে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: খোকনের উদ্যোগে এ দোয়া ও মিষ্টি বিতরণের আয়োজন করা হয়।
দোয়াপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খোকন বলেন, আমাদের প্রাণের নেতা জাকির খান একটি মিথ্যা হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আমি এ জন্য সর্ব প্রথম পরম করুনাময় আল্লাহ্’র দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। পাশাপাশি দোয়া করছি, আল্লাহ্ যেন আমার নেতাকে সব সময় ভালো ও সুস্থ রাখেন। আমি বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জের একজন সাহসী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব হলো জাকির খান। তার সাথে বর্তমান বিএনপির কোন নেতার তুলনা করা যায় না। কারণ, তিনি কোন আঁতাঁতের রাজনীতিতে বিশ^াসী নন। যতই হুমকি ধমকি আর মামলা হামলা দেওয়া হোক না কেন, তিনি কখনই ওই ফ্যাসিস্টদের সাথে আঁতাঁত করেন নি। কারো কাছে মাথা নত করেন নি। তিনি সেই সময়েও ছিলেন বাঘ, এখনও বাঘই আছেন। সত্যিই আমরা গর্বিত, আমরা ধন্য এমন একজন নেতা পেয়ে যার গর্জনে এখনও রাজপথ কেঁপে উঠে। আমরা এমন সাহসী নেতাকেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃত্বে দেখতে চাই। কারণ, তার মত নেতার পক্ষেই রাজপথ দখলে রাখা সম্ভব ।
বক্তব্য শেষে জাকির খান বেকসুর খালাস পাওয়ায় আল্লাহ্’র কাছে শুকরিয়া ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মঞ্জু খান, সদর থানা শ্রমিক দলের যুগ্ম মো: সুমন হোসেন, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জিএম জিতু প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি বিকেএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানসহ সব আসামীকে খালাস দেন আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। খালাস পাওয়া অন্য আসামীরা হলেন জাকির খানের দুই ছোট ভাই জিকু খান ও মামুন খান, তাঁর সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আবদুল আজিজ। তাঁদের মধ্যে মনিরুজ্জামান শাহীন মারা গেছেন।