শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্রবিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে বন্দর বাজার দুর্গাপূজা মন্ডপ প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের পক্ষ থেকে প্রায় ৩ শতাধীক অসহায় মানুষের মাঝে এ বস্ত্রবিতরণ করা হয়। মহানগর মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বস্ত্রবিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কন্যা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক অর্পণা রায় দাস। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, ঢাকা মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব বাবু সুভাষ দাস, কেন্দ্রীয় হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পী, কেন্দ্রীয় হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ফ্রন্টের যুগ্ম আহবায়ক সমীর সরকার, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি সীমান্ত দাস, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের আইন বিষয়ক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব মন্ডল, বন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ মোঃ সানোয়ার ও সাবেক ছাত্রনেতা নুর হানিফ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি অপর্ণা রায় দাস তার বক্তব্যে বলেন, বিগত ষোলটি বছর হাসিনার সরকার নারায়ণগঞ্জের শুধু জাকির খানই নয় প্রতিটি জেলায় প্রতিটি ওয়ার্ডে আমাদের ছেলেদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের জাকির খান মুক্ত হবে নতুন বাংলাদেশে। জাকির খান ছিলো বরাবরই তুখোড় ছাত্রনেতা। আমি সব সময় ওর পাশে আছি, ওর পরিবারের পাশে আছি।
তিনি বলেন, আমাদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। আবার আমাদের দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াও গণতন্ত্রের জন্য আপষ করে দেশছেড়ে পালিয়ে যান নি। তিনি শত নির্যাতন সয়ে এদেশের মাটিতেই আছে। দুর্গাপূজায় আপনারা সবাই তার জন্য আর্শিবাদ করবেন, তার পরিবারের জন্য আর্শিবাদ করবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মনির হোসেন খান বলেন, সংখ্যালঘু এ কথাটা আমি মানতে পারিনা। সংখ্যালঘু বলতে কোন কথা নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশী। এদেশে আমাদের সকলের সমান অধিকার। সকল ধর্মের মানুষরা যাতে তার ধর্মীয় নিয়মকানুন যথাযথভাবে পালন করতে পারে এ জন্য আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদেরকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আপনাদের দুর্গাপূজার যে কোন সমস্যা আমাদের বলবেন। আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম আছি এবং থাকবো।
সভাপতির বক্তব্যে উপস্থিত অসহায় মানুষদের উদ্দেশ্য করে শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু বলেন, আমার নেতা জাকির খান যেখানেই থাকুক না কেন, আপনাদের কথা সব সময়ই ভাবেন। তিনি যখন বিদেশের মাটিতে ছিলেন তখনও আপনাদের জন্য বস্ত্রের ব্যবস্থা করেছিলেন, আবার এখন তিনি কারাগারে তখনও কিন্তু আপনাদের জন্য এ বস্ত্র পাঠিয়েছেন। আপনাদের কাছে আমার শুধু এইটুকুই চাওয়া থাকবে, আপনারা এ মানুষটার কথা কখনো ভুলে যাইয়েন না। আপনারা তার জন্য প্রাণখুলে একটু দোয়া করবেন।
জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক দল নেতা শেখ সালেহ্ আহমেদ রনি, সদর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ এজাজ চৌধুরী, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক লিমন ভূইয়া সিরাজী, নারায়ণগঞ্জ হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি খোকন সাহা, মহানগর মৎস্যজীবী দল নেতা মোঃ রিপন, মোঃ আসাদুল জামান সানী, শহীদ জিয়া পরিষদের ফতুল্লা থানা সিনিয়র সহ সভাপতি নয়ন তালুকদার, বন্দর থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ জলিল, যুগ্ম আহ্বায়ক মস্তান, হেলাল উদ্দিন, মিলন, সাদ্দাম, ২২নং ওয়ার্ড মৎস্য জীবী দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ইমরান খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল, জাহাঙ্গীর, নীর, মহিউদ্দিন, বাবু, ২৩নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান খোকন, সদস্য আজীম, চান মিয়া, রিফাত, মশু প্রমূখ।