বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থণা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে বন্দর বাজার এলাকায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খানের পক্ষে মহানগর মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মিঠু বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন এক ক্ষণজন্মা নক্ষত্র। যে নক্ষত্র আজও দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে জ¦ল জ¦ল করে জ¦লছে। অতি অল্প সময়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তিনি মানুষের মাঝে তার যে ছাপ রেখে গিয়েছেন, তার দৃষ্টান্ত সমসাময়িক ইতিহাসে মেলা ভার। তিনি ছিলেন, দেশের জনগণের প্রতি পুরোপুরি নিবেদিত প্রাণ। জনগণের সমস্যা সমাধানে তিনি গভীরভাবে মাথা ঘামাতেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মত একটি স্থিতিশীল অবস্থায় পৌছেছিলো এবং অগ্রগতি অর্জন করেছিলো। সবচেয়ে বড় তিনি হলেন, স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন বলেই দীর্ঘ ৯টি মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়েছিলো। শুধু তাই নয়, তিনি রণাঙ্গণে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর তাই তিনি বীর উত্তম উপাধীতে ভূষিত হয়েছিলেন। এসব ইতিহাস তোমাদের (শিক্ষার্থীদের) জানা দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমার নেতা মহানগর বিএনপির অন্যতম নেতা জাকির খানের পক্ষ থেকে তোমাদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দিতে পেরে সত্যিই আমি আনন্দিত। আমি গর্ববোধ করি যে, আমার নেতা আমাদের এমন একটি কাজের দায়িত্ব দিয়েছে, যে কাজের মাধ্যমে তোমাদের মত কোমলমতি শিশুদের সাথে আমার দেখা হচ্ছে এবং আমি মনে করি মহৎ কাজ। যাইহোক, তোমরা আমার প্রিয় নেতা জাকির খানের জন্য দোয়া করবা। তিনি যেন দ্রুত কারামুক্তি হয়ে তোমাদের সাথে দেখা করতে পারে এবং নিজ হাতে তোমাদের এ শিক্ষাসামগ্রী তুলে দিতে পারে।
এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার শান্তি কামনাসহ বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ূ কামনা করে বিশেষ প্রার্থণা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর মৎস্যজীবী দল নেতা মো: আসাদুল জামান সানী, বন্দর ২৩নং ওয়ার্ড সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কবির, আলী হোসেন, সাধু সমীর দে প্রমূখ।