অবশেষে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলের প্রত্যাশাই পূরণ করলো কেন্দ্র। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তির পর তৃণমূলের যে আশা আকাঙ্খা ছিলো সেটা টেড় পেয়ে তাদের প্রত্যাশিত ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদকেই আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্র। এতে উচ্ছ্বাসিত নারায়ণগঞ্জ বিএনপি।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারী) অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রূপগঞ্জের মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক পদে মাসুকুল ইসলাম রাজীব, শরীফ আহমেদ টুটুল ও সদস্য পদে রাখা হয়েছে জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে।
এদিকে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই এ কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীকে। তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে বলেন, এতদিনে আমাদের আশা পূরণ হয়েছে। মামুন ভাই (অধ্যাপক মামুন মাহমুদ) একজন রাজপথের নেতা। তিনি কর্মীবান্ধব নেতা। কোন ধরনের বির্তক নেই তাকে নিয়ে। তিনি একজন শিক্ষানুরাগী ও পরিচ্ছন্ন মানুষ। সামনে নির্বাচন। তার মতো ক্লিনম্যানদেরই এখন দলে ভীষণ প্রয়োজন। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে আমাদের নেতা তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাই যে, তিনি আমাদের মনের ভাষা বুঝতে পেরেছেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। এ কমিটি পেয়ে আমরা সত্যিই খুশি।
তারা আরও বলেন, বিগত দিনে যারা জেলা বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন তারা বির্তকিত কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে দলকে কলঙ্কিত করেছেন। তাদের কারণেই আজ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা আমাদের নিয়ে আজে-বাজে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। তারা টাকার নেশায় পাগল হয়েগিয়েছিলো। আর তাই বিগত দিনে দলের চাইতে টাকা-পয়সাই তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তাদের কারণে বিএনপির সকল অর্জন প্রায় ধূলিষাৎ হতে চলেছিলো। আমরা বিশ্বাস করি, অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে বিগত দিনের জেলা বিএনপির সকল কলঙ্ক মোচন হবে। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে জেলা বিএনপি। তার হাত ধরে এ বিএনপিকে শুধু নারায়ণগঞ্জবাসীই নয়, গোটা দেশবাসী চিনবে নতুন করে। জেলা বিএনপির হারানো সকল অর্জন ফিরে আসবে। দলীয় কোন্দল মিটিয়ে দল আরও বেশি শক্তিশালী করতে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে বলেও আমরা মনে করি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর নানা বির্তকিত কর্মকান্ডের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের এই কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগ তদন্তে একটা কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। সেই কমিটির সুপারিশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হল।