হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সহ সভাপতি ও জেলা উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেছেন, এত নরম বেশি নরম ভালো না। আজকে দুই হাজার চব্বিশ সালে আপনাদের এ সদরের আমলের কারণে আমার ৪ চারটা ভাই শহীদ হয়েছেন। অসংখ্য ভাই রক্তে রঞ্জিত হয়েছেন। টঙ্গীর ময়দান রক্তে লাল হয়েছে। আল্লাহ্’র কসম করে বলি, আমাদের ধৈর্যের বাধ যদি ভেঙ্গে যায় একটাই আওয়ামী লীগের দোসর এ বাংলাদেশে খোঁজে পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, পরিস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জের টাওয়ার মনির, তথাকথিত ব্যবসায়ী শাহীন, এরপর আসাদ ২৪ ঘন্টার সময় দিলাম। যদি তাদেরকে এ্যারেষ্ট করা না হয়, জনগণ গণধোলাই দিতে বাধ্য হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠে ছাত্র ও তাবলীগের ওপর সাদপন্থীদের হামলার বিচার এবং নিষিদ্ধ ও সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ফেরদাউস বলেন, আমরা আপনাদের ঘর চিনি, আমরা তোমাদের বাড়ী চিনি, আমরা তোমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চিনি। এই টাকা দিয়ে তোমরা খুনি লালন-পালন করো, এই টাকা দিয়ে তোমরা আলেমকে হত্যার করার চেষ্টা করছো। আর তোমাদের বিন্দু পরিমান ছাড় দেবো না।
আমলাপাড়া মার্কাস দখলের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজ আসরের নামাজের পর থেকে আমলাপাড়া মার্কাস আহলে হকদের দখলে থাকবে। এখানে কোন খুনির ঠাঁই হবে না। এখানো কোন রক্তচোষা আওয়ামী লীগ দোসরদের ঠাঁই হবে না। এখানে খুনিদের দেখলে গণধোলাই দিয়ে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবো।

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের ডিসির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জের এসপির উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনাদের টেবিলটা এখন বাজাইরা টেবিল হয়ে গেছে। খালি আলোচনা হয়, সমাধান হয় না। এই টেবিলটা বাজাইরা টেবিল না, এই টেবিলটার অনেক মূল্য। আপনারা আমাদের সাথে লুকোচুরির খেলা খেলেছেন। এই লুকোচুরির খেলা আর খেলতে দেয়া হবে না। আর কাউকে বিন্দু পরিমান ছাড় দেবো না। নারায়ণগঞ্জের এসপি সাহেবকে বলি, নারায়ণগঞ্জের ডিসি মহোদয়কে বলি, অনতিবিলম্বে তাদের খোঁজে বের করে যদি বিন্দু পরিমান আপনারা গড়িমসি করেন আইন হাতে তুলতে আমরা বাধ্য হবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন, সামনে আমাদের কর্মসূচি আসছে। আমলাপাড়া মসজিদ কমিটিতে যারা আছেন, তাদের বলবো আপনারা অনতিবিলম্বে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। এই মার্কাসদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত কি নেবেন আপনারা জানেন। কিন্তু আসরের নামাজের পর থেকে এ মার্কাস আহলে হকদের দখলে থাকবে।