বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেলের সাধারণ গ্রুপের প্রার্থী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ আলী রেজা রিপন বলেছেন, আপনারা চান্দা (চাঁদা) দেন আপনারা হোসিয়ারী সমিতির সমস্ত কিছুতে অংশগ্রহণ করেন কিন্তু আপনাদের যেটা ভোটের অধিকার, সম্মান যে জিনিসটার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের অধিকার আদায় করতে পারবেন সেই নির্বাচনই হয় না। আর যারা এ সিস্টেমটা চালু করছে অটোপাসের সিস্টেম, সিলেকশনের সিস্টেম তারা এখন দরবেশ সাইজা আপনাদের সামনে আসতাছে, এসে আপনাদের কাছে ভোট চাইতেছে। ভোট দিবেন কি না, এটা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
বুধবার (১৬ জানুয়ারী) সকালে শহরের হাবিব কমপ্লেক্স মার্কেটে নির্বাচনী আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিপন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের ধিক্কার জানিয়ে বলেন, ছি: লজ্জা লাগেনা আপনাগো। লজ্জা নাই দশ বছর ইলেকশন করতে দেন নাই এখন কোন মুখে ভোটারগো কাছে আহেন (আসেন)। আমরা হলেতো লজ্জায় বাইত (বাসা) বইয়া থাকতাম আপনাদের কাছে আর আসতাম না। আমরা আসছি, এখন নির্বাচন হচ্ছে। আগেতো অনেককে নমিনেশন পেপার কিনতেও দেয় নাই। এমনও আছে, গত আওয়ামী লীগ প্রিয়ডে মনোনয়ন কিনতে গেছে বেডারে বহাইয়া ধুইয়া দিছে। বেডায় কইছে আমার প্রশ্রাবে ধরছে। বেডারে কইছে বোতলের ভিতরে মুত। ওই লোকটারে বাইরে বের হতে দেই নাই। ৫ টার পর নমিনেশন কিনার টাইম গেছেগা, এরপর বেডারে ছাড়ছে। সেই কালচার আমরা আর চাই না।
তিনি বলেন, এ ইলেকশনে অনেকেই আগ্রহী ছিলো। অনেকেই আপনারা কিন্তু ভোটার হওয়া জন্য আগ্রহী ছিলেন। কি করতে ভোটার হবেন। আপনারা বছর বছর টাকা দিয়া ভোটার হবেন, ইলেকশনে ভোট দিতে পারবে না, আপনাদের মর্যাদা আপনারা পাইবেন না। এ কারণে অনেকেই ভোটার হয় নাই। আর কিছু জুজুর ভয় আছে। জুজুর ভয় দেখানোর কারণে অনেকেই মনে করে আরে বাবা কি যেন একটা বাঘ আছে। আরে বেডা তুইতো কাগজের বাঘ। কাগজের বাঘ। তুই ফুসফাস করছ, ফুকুম ফাকুম করছ কামড় দিতে পারছ না। খামছি দিতে পারছ না, সেই ক্ষমতা নাই। তুই বিএনপির কেউ না। বিএনপির নাম বেইচ্চা এগুলোর সহযোগীতায় ঝুট সন্ত্রাসী করতাছে। বিএনপি কোন ঝুট সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয় না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বতন্ত্র প্যানেলের সাধারণ গ্রুপের পরিচালক প্রার্থী নাজমুল হক, লুৎফর রহমান ফকির, বাবুল চন্দ্র দাস, সুশান্ত পাল চৌধুরী, মোঃ আওলাদ হোসেন, মোঃ আবুল বাশার বাসেত, মোঃ দিদার খন্দকার, এসোসিয়েট গ্রুপের মাসুদ রানা, নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার, মোক্তার হোসেন, মাসুম মোল্লা, ফারুক আহম্মেদ, ইবনে মোঃ আল কাওছার, আনোয়ার হোসেন ও আল আমিন প্রধান সহ আরও অনেক হোসিয়ারী ব্যবসায়ীরা।