‘আমার বাবা খুব অসুস্থ্য। যার কারণে তিনি আজ এ মিলাদে উপস্থিত হতে পারেন নি।’ এ কথা বলার সাথে সাথেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউসার আশা। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বললেন, আপনারা সবাই আমার বাবার (সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট আবুল কালাম) জন্য দয়া করে দোয়া করবেন। এখানে উপস্থিত আমার চাচা আবুল হাসান সাহেব তিনিও বেশি একটা সুস্থ না। আপনারা তার জন্যও দোয়া করবেন, দোয়া করবেন আল্লাহ্ যেন তাদেরকে নেক হায়াত দান করে। বিশেষ করে আমার বাবার জন্য। তিনি দীর্ঘদিন আপনাদের জন্য কাজ করেছেন। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আপনাদের সন্তানের মতই সব সময় আপনাদের পাশে ছিলেন। তার সুস্থতা কামনা করে আপনারা দোয়া করবেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বাদ জোহর দাদা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সাবেক সাংসদ বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ও সফল সংগঠক হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদের (জালাল হাজী) মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এভাবেই উপস্থিত সকলের কাছে চোঁখের জলে দোয়া প্রার্থণা করেন। বন্দর কদম রসূল এলাকায় সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট আবুল কালামের গোডাইন বাড়ীতে হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল। তার বক্তব্য শেষে হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ছাড়াও সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও আবুল হাসানের সুস্থ্যতা কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে নেওয়াজ বিরতণ করা হয়।
এছাড়াও হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছিলো দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি। হাজী জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকাল ৭ টায় নবীগঞ্জ বাগে জান্নাত মসজিদে কোরআন খতম ও বাদ আসর বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ দোয়া ও নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।