দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ১০৮ পরম হংস শ্রী শ্রীমৎ স্বামী গিরিজানন্দ গিরি (বালক বাবা) মহারাজের স্মরণ উৎসব পালিত হয়েছে। শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ গিরিজানন্দ গিরি যুব পরিষদের উদ্যোগে এ উৎসব পালিত হয়।
এদিন সকলে দেওভোগ (জিউসপুকুর পাড়) শ্রী শ্রী গৌর নিতাই জিউর আখড়া থেকে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটির উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির। পরে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সেই আখড়ায় গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে ভারত থেকে আগত শ্রীমৎ স্বামী গিরিজানন্দ গিরি (বালক বাবা)’র অনুসারী কিরণ গিরি মহারাজ্যি (দেবী মা) মঙ্গল দ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভজন মন্ডল, রতন সরকার, লিটন ভাওয়াল, সাধন মন্ডল, অ্যাডভোকেট রাজীব মন্ডল, অপু সরকার, আশীষ ভাওয়াল (কুমিল্লা থেকে আগত), অজিত ভাওয়াল, বিজাত দে, পলাশ পাল, বিশ্বজিৎ পাল, পলাশ পাল, শচীন ভাওয়াল, রাজীব দে, গোপী দাস, বাসু দাস, নাঈম, বিপদ, দীপু, পাপ্পু, সৌরভ, পলাশ, আকাশ, পবন, পাবিজাত, অরূপ, নীরব, শুভ্রত, শিবু, শুভ, জয় প্রমূখ।
শ্রীমৎ স্বামী গিরিজানন্দ গিরি (বালক বাবা) মহারাজের স্মরণ উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো হল, ভোর ৫টায় মঙ্গল ঘট স্থাপন, সকাল ৬টায় ব্রহ্মমুহতে উপাসনা, সকাল ৯টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সকাল ১১টায় দীক্ষাদান, সাধিকা কিরনগিরি (দেবী মা) খোয়াই, ত্রিপুরা, ভারত, দুপুর ১২টায় গুরুপূজা, ঠাকুরের ভোগ রাগ ও ভোগ আরতি, দুপুর ২টায় মহা প্রসাদ বিতরণ, বিকাল ৪টায় মহতী ধর্মসভা, সন্ধ্যায় ৬টায় ব্রহ্মগিতীকা মাঠ, সন্ধ্যা ৭টায় এবং সর্বশেষ ভজন সংগীত।