বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষনার ইস্যুতে

নারায়ণগঞ্জের রাজপথ বিএনপির দখলে

সিটি নিউজ / ৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পোস্টার ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ অনেকটা গরম রেখেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এখন দিনের বেশিরভাগ সময়ই এমনটি রাতে রাজপথ দখলে রাখতে দেখা যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের।

জানাগেছে, পহেলা ফেব্রুয়ারী শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে সর্বপ্রথম মাঠে নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে ওই দিন রাতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা। এসময় তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি করে বক্তব্য দেন।

সমাবেশে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আমরা আপনাদের খুঁজছি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আপনাদের খুঁজছে। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের খুঁজছে। আপনাদেরকে ধরে আমরা পুলিশের কাছে সোপর্দ করবো এবং ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার কার্যকর করার ব্যবস্থা করবো। আপনারা যে অপরাধ করেছেন সে অপরাধের শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদ-। সেটা নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আপনাদের প্রতিহত করে যাবো।

সমাবেশে অ্যাডভোকেট টিপু বলেন, আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে থাকবো। যদি কোন আওয়ামী লীগ যুবলীগের কোন নেতাকর্মীরা কোন ধরনের নৈরাজ্য অরাজকতা করা সৃষ্টি করে তাহলে তাদেরকে দাঁত ভাঙ্গে জবাব দেওয়া হবে। আর আপনারা সবাই পাড়ায় পাড়ায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মহল্লায় মহল্লায় পাহারায় থাকবেন। আর এইসব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ শ্রমিকলী কৃষকলীগ সকল অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মীদের তালিকা সংগ্রহ করে আমাদের কাছে দিবেন। আর তাদেরকে দেখামাত্র আপনারা তাদেরকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন।

একই দিন রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খানের অনুসারিদেরও মাঠে নামতে দেখা গেছে। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে শহরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। শহরের ২নং রেলগেটস্থ মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে ওই মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে জিয়া বলেন, আমি আওয়ামী লীগ যারা করেন তাদেরকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই নারায়ণগঞ্জের যদি কোন বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হয়, নারায়ণগঞ্জের শান্তিকে যদি বিনষ্ট করার চেষ্টা করেন, ্আপনাদের দ্বারা যদি কোন ধরনের জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়, আমরা জাকির খানের কর্মীরা এর দাঁতাভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত আছি।

এর ঠিক পরের দিন ০২ ফেব্রুয়ারী (রোববার) একই কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামেন মহানগর ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি ও মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ। তার নেতৃত্বেও শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে জোসেফ বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন জায়গায় নৈরাজ্যের উদ্দেশ্যে মিছিল করেছে। তাদের এ সাহস কে দিয়েছে? বিগত ষোল বছর আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের উপর স্টীম রোলার চালিয়েছে। অসংখ্য গুম, খন এবং আয়না ঘরের মত অমানুষিখ কাজ করেছে। তারা এখন নতুন করে দেশকে অশান্ত করার পায়তারা করছে। দুবাই থেকে অর্থায়ন করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার লক্ষ্যে। আর এসব ষড়যন্ত্র রুখে দেবো।

এদিকে এই দিনও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মাঠে নামতে দেখা যায় মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের। তারা এদিন একই কর্মসূচি পালন করেন।

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারী) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে সমাবেশ করেছে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা। শহরের ডিআইটি এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে আশা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যতদিন বন্দি ছিলেন ততদিন দেশটাও বন্দি ছিল। এই দেশে বাক স্বাধীনতা ছিলো না, সংবাদপত্র স্বাধীনতা ছিলো না। পুলিশ বাহিনীকে পেটুয়া বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছিলো। খালেদা জিয়া মুক্তি সাথে সাথে দেশের মানুষ স্বাধীনতা লাভ পেতে শুরু করেছে। আপনারা দেখেছেন তারেক রহমান বার বার ম্যাসেজ দিয়ে যাচ্ছেন, তিনি কিছু বলতে চাইছেন। কিন্তু বুঝতে চেষ্টা করছি না, অথবা বুঝেও না বুঝে থাকছি। যারা বিএনপি করেন তারা কিন্তু এখনো ত্যাগের মধ্যে আছেন। আর যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, তারা ভুইফোঁড় সংগঠন করছেন। তারা বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজী করে আমাদের দলকে নষ্ট করার পায়তারা করছেন।

এদিকে এদিনও ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাঠে ছিলেন মহানগর বিএনপি। তারা মাসজুড়ে এ কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই