চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে অবশেষে বৃষ্টির দেখা মিলেছে নারায়ণগঞ্জে। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত আটটার পর থেকে জেলা শহর ও আশেপাশের উপজেলাগুলোতে শুরু হয় ঝিরি বৃষ্টিপাত। পরে নামে জোরেশোড়ে। থেমে থেমে কয়েকদফা বৃষ্টির বর্ষণে প্রকৃতিতে নেমে আসে স্বস্তির হাওয়া। এ সময় দফা দফায় বজ্রপাতে প্রকম্পিত হয় আকাশ।
এদিকে বৃষ্টি নামায় কিছু স্বস্তি মিলেছে জেলাবাসীর মধ্যে। অনেতকেই ঘর ছেড়ে বাহিরে রাস্তায় নেমে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকার আইনজীবী নুসরাত জাহানও অনেক দিন পর বৃষ্টির দেখা পেয়ে স্বজন নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। কিন্তু গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দ্রুত শেষ হওয়ায় ভিজতে পারেননি বলে জানান তিনি।
পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের ভুঁইগড় এলাকায় বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ভিজে গেছে। অন্য এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
এদিকে, বৃষ্টিপাতের পর কিছুটা কমে আসে তাপমাত্রা। দিনভর ৩৪-৩৫ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও সন্ধ্যায় তা ৩০ডিগ্রিতে নেমে আসে।
সারাদেশের ন্যায় গত বেশ কিছুদিন ধরে নারায়নগঞ্জেও দাবদাহ চলছিলো। দাবদাহের কারণে জনজীবনে নেমে অস্বস্তি, বন্ধ রাখা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির জন্য হয় বিশেষ দোয়া মোনাজাত।