আগামী ৪ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জে আসবেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় রাইফেল ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান বলেন, আমার কাছে হঠাৎ ফোন আসছে। জানানো হলো শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জে আসছেন ৪ জানুয়ারী। দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জে আসবেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ফোন করে জানিয়েছেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা ৪ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জে একেএম সামছুজ্জোহা স্টেডিযামে আসবেন এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সমাবেশ ঢাকায় না করে আমাদের এখানে করবেন তিনি। আমাদের যেভাবে তিনি মূল্যায়ন করেছেন এটায় আমরা গর্ববোধ করছি।
সমাবেশের বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, এই স্টেডিয়ামে ঈদের জামাতে এক লাখ পঁচিশ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারেন। সে হিসেবে প্রায় আড়াই লাখ লোকের এখানে জায়গা হবে। পাশাপাশি রাস্তাও আছে।
এখানে আমাদের সাধারণ সম্পাদকসহ আরও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ থাকবেন। আমার এলাকায় আর তেমন কাজ নেই। আমি স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে বলব সবাই যেন এদিন আসে। স্মরণকালের বৃহত্তর সমাবেশ আমরা নারায়ণগঞ্জে করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, এ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। একটা লোক গাছ লাগায় ফল খায়। আমরা গাছ লাগাব, মানুষ যেন একটু কষ্ট করে ফলটা খায়। আমি আমার নির্বাচনী প্রচারণায় সবাইকেই চাই, শুধু আইভী কেন, আমাদের মাঝে কোন বিভেদ নেই।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সারা দেশেই নির্বাচনের পরিস্থিতি ভালো। আমরা একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। তারা ৭১ সালেও ছিল। সেই রাজাকার আলবদরের সঙ্গে আরেকটি দল যুক্ত হয়েছে। আমি ওদের সন্ত্রাসী দল বলি। তাদের সঙ্গে আরও কিছু সুশীল আছে।
শামীম ওসসান বলেন, আমি পাঁচটি নির্বাচন করেছি। ২০০১ সালেও আমি জয়ী হয়েছিলাম। সেই রেজাল্ট বদলে বিএনপিকে পাশ করানো হয়। আমি কখনও হারিনি। সকল নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন কঠিন। ৭০ সালের নির্বাচন ছিল দেশ স্বাধীনের নির্বাচন।
এবার তারা চাইবে যে ভোটের পার্সেন্টেজ যত কমানো যায়। তবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি ফ্রি-ফেয়ার ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। মানুষ যেন ভয় না পায় সেটা ভাঙানোই আমাদের কাজ।
সাংবাদিকদের আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা এ সিটটি খালি রেখেছেন সেলিম ওসমান বা শামীম ওসমানের জন্য না। এটা রেখেছেন আমার বাবা, দাদা, আমার বড় ভাই এখান থেকে অতীতে নির্বাচন করেছেন। তাদের প্রতি ভালবাসা থেকেই এ সিটটি খালি রাখা হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমানকেও তিনি পছন্দ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি.এম. আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলালসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন।