ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সারা দেশে নারীদের প্রশিক্ষণ চলছে। এই প্রশিক্ষণের নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে দিয়েছেন। তিনি নাম দিয়েছেন ‘হার পাওয়ার’ মানে নারীর শক্তি। আর এই নারী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে স্মার্ট উপহার ‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘আইসিটি উপদেষ্টা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় গত ১৫ বছরে সুলভ মূল্যে সারা দেশে ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছি। যার ফলে আজকে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। আমাদের সরকারি সেবাগুলোকে আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যার ফলে ২ হাজার ৫শ সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে গেছে। জয়ের নির্দেশনায় ৬ লাখ ৯০ হাজার ফ্রিল্যান্সার এবং আমাদের ৫০ হাজার কল সেন্টার এজেন্ট, ৫০ হাজার বিভিন্ন ডিভাইসে কাজ করছে ছেলে-মেয়েরা। মাত্র ১৫ বছরের ব্যবধানে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমি আজকে আসার সময় শেখ কামাল আইটি ইনিস্টিউটের কাজটি পরিদর্শন করে এসেছি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটা দৃশ্যমান হবে। ছয় বছরের মধ্যে এখানে বিল্ডিং হবে। তখন হাজার ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে এখানে। নারায়ণগঞ্জের মাটি থেকে বসে তারা বড় বড় দেশের আউটসোর্সিং করবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তারা নেতৃত্ব দেবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে যদি আমরা আমাদের বোনদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারি এবং তারা একটা স্টার্টআপ যদি ফান্ড পায়। সেটা দিয়ে যদি স্টার্ট আপ করতে পারে। আর প্রযুক্তির জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার একটি ল্যাপটপ পায়। তাহলে তারা আত্মনির্ভরশীল হবে। তাদের কারও ওপর নির্ভর হতে হবে না।
পলক বলেন, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের এত বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো শুধু তার বা তার পরিবারের জন্য নয়। হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এখানে। একজন যদি চাকরির পেছনে ছুটে তাহলে তার পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার ব্যবস্থা করতে পারে। আর যদি উদ্যোক্তা হয় তাহলে সে অনেক পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার ব্যবস্থা করতে পারে।
গত পনেরো বছরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আমাদের ৫০ হাজারের বেশি ছেলেমেয়ে হার্ডওয়্যার মেনুফেকচারের কাজ করছে।
গত নির্বাচনের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার দূরদর্শীতে দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার নূন্যতম জ্ঞান ছিলনা বলেই সেসময় সাবমেরিন কেবল নেয়নি। সেকারণেই বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছর পিছিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আজকে আমি এখানে এর জন্য তিনজন নারীর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। একজন হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জন্য আমি এখানে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পেয়েছি। আরেকজন নারী হল আমার মা যিনি আমার চোখে পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আরেকজন হল আমার অর্ধাঙ্গিনী আমার স্ত্রী। সে নিজে ছাত্র জীবনে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করেছিল। ২০০১ সালে যখন মামলা মাথায় পালিয়ে থাকতে হয়েছে তখন আমার স্ত্রী আমাকে সাহস যুগিয়েছে। আজ নারী দিবসে এই তিন নারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে অন্যায় হবে।