বই মেলা মানেই যেন উৎসব। সব শ্রেণীর গ্রন্থানুরাগীরাই মেলায় আসেন প্রিয় লেখক কিংবা প্রিয় কবির বই সংগ্রহ করার জন্য। ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে বই মেলার প্রতিটি স্টোল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে এবারের বই মেলাটা যেন আমেজশূন্য। নেই ক্রেতা বা দর্শনার্থী। বিক্রেতারা বলছেন, প্রচারণার অভাবেই নাকি এবারের বই মেলা এমন আমেজ ও ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। তারা এ জন্য আয়োজক তথা প্রশাসনকে দায়ি করছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে এ বই মেলাটির উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়াস্থ জিয়া হল প্রাঙ্গণে বসা বই মেলায় গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে মোট ২১টি স্টল রয়েছে। প্রতিটি স্টলই ছিলো ক্রেতা শূন্য। শুধু ক্রেতাই নয়, মেলায় নেই কোন দর্শনার্থীও। স্টলগুলোতে বই সাজিয়ে বসে থাকা বিক্রেতাদের চোঁখে মুখে শুধুই হতাশার ছাপ।
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিক্রেতারা অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই যে বই মেলাটির আয়োজন করা হয়েছে। এমন বিবর্ণ বই মেলা এর আগে কখনো দেখিনি। এখানে অনেকগুলো স্টল বরাদ্ধ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু স্টলে কেউ নেই। এতে করে মেলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এবং এখানে যে বইমেলাটির আয়োজন করা হয়েছে, জেলাজুড়ে এর কোনো প্রচার-প্রচারনা নেই। যার ফলে এ মেলায় দর্শনার্থী বা পাঠকের কোনো ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আমরা শুধু বই নিয়ে বসে আছি এবং মশা-মাছি মারছি। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের আরেকটু আন্তরিক হওয়া দরকার।