সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও আগামী ১৫ মার্চ জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৪২,২৯৪ জন শিশু এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ২,৯৮,২১২ জন শিশু যথাক্রমে নীল ও লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গ্রহণ করবে। ক্যাম্পেইনটি ১,০৫৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যেখানে স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজন করে কর্মী নিয়োজিত থাকবেন।
জাতীয়ভাবে শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা কমানো ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান জানান, ক্যাম্পেইন সফল করতে বিস্তৃত প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচার, বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সচেতন করা, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে প্রচার
মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে জুমার খুতবার আগে ক্যাম্পেইন সম্পর্কে অবহিত করা, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের সম্পৃক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে সমন্বয়।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তেমন কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। তবে, কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল ও প্রতিটি উপজেলা হাসপাতালে বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পূর্বের মতো এবারও ক্যাম্পেইন সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মেডিকেল অফিসার একেএমএম মেহেদি হাসান (প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন), জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. লুৎফর রহমান (উপস্থাপনা), সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. মোরশেদুল ইসলাম খান, ডা. নাসিরুল হক, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোর কিপার মো. ইব্রাহীম খান, সহকারী স্টোর কিপার মো. শওকত জামান, পরিসংখ্যানবিদ মো. সাইফুল সালমান।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শিশুদের অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের শিশুরা পুষ্টিহীনতা থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।