পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছে শহরবাসী। ঈদ যতো এগিয়ে আসছে সেইসাথে বাড়ি ফেরা মানুষদের ঝাঁকটাও বড় হচ্ছে। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালেও বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ।
জানা যায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সদরঘাটে যাত্রীদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রেতারা বলছেন, বৃহস্পতিবার ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অধিকাংশ যাত্রী এদিনই বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, সকালে ষাটনল, চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জের যাত্রী ছিল স্বাভাবিক। এসময় ঈদ যাত্রা উপলক্ষে বিশেষ ভিড় চোখে পড়েনি। এদিন দুপুরেও যাত্রীর ভিড় ছিল কম। তবে বিকাল থেকে যাত্রীদের ভিড় বড় হতে থাকে। এদিন সবথেকে ভিড় ছিল চাঁদপুর রুটে। তবে মুন্সীগঞ্জ রুটের লঞ্চে যাত্রীদের ভিড়ও ছিল যথেষ্ট।
গত কয়েকদিনের তুলনায় এদিন যাত্রী বেড়েছে বলে জানান চাঁদপুরগামী এক লঞ্চের সুপারভাইজার। তিনি বলেন, ঈদের আগে আজই (গতকাল) শেষ কর্মদিবস। দুর্ভোগ এড়াতে অনেকেই আগেভাগে লঞ্চ টার্মিনালে এসে ভিড় জমিয়েছেন। আছরের পরপরই বেশ কিছু লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে রওয়ানা হয়।
এদিন যানজটের কারণে লঞ্চ টার্মিনালে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। সারা শহরের যেন তীল ধারণের ক্ষমতা নাই। তীব্র যানজটের কারণে যানবাহন চলে কচ্ছপ গতিতে।
এ বিষয়ে সাজ্জাদ নামে এক যাত্রী জানান, খানপুর থেকে টার্মিনালে আসতে মাথাটা প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। রাস্তায় কয়েক জায়গায় অতিরিক্ত জ্যাম ছিল। শেষে একপ্রকার বিরক্ত হয়ে মিশুক থেকে কালীবাজারের মোড় নেমে পাঁয়ে হেটে এসেছি। পরিবার আরও এত ব্যাগ নিয়ে আসতে খুবই কষ্ট হয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে টার্মিনাল এলাকার এক কমিউনিটি পুলিশের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, টার্মিনাল এলাকায় যানজট নিরসনে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা একটা ব্যস্ত এলাকা এজন্য ভিড় লেগেই থাকে।
টার্মিনালে ভিড় ও কাজের চাপ কেমন জানতে চাইলে এক নৌযান শ্রমিক নেতা বলেন, টার্মিনালে আশানুরূপ যাত্রীর দেখা এখনও মিলছে না। আর যাত্রী কম থাকায় আমাদের কাজের চাপও কম।
ঈদ যাত্রা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ’র কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্দিষ্ট সময় মেনেই লঞ্চগুলো চলছে। বেশি যাত্রী নেওয়ার আশায় দেরি করছে না। কোন লঞ্চ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী না নেয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি।