নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাংসদ শামীম ওসমানের পক্ষে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের বার্তা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে পৌছে দিচ্ছেন যুবলীগ নেতা মুন্না আহমেদ। শুধু তাই নয়, তিনি বিরামহীনভাবে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে ভোটারদের উৎসাহিত করে যাচ্ছেন।
ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তিনি এ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাংসদ শামীম ওসমান তথা নৌকার লিফলেট নিয়ে বিভিন্ন হাট-ঘাট বাজার থেকে শুরু করে সকল জনবহুলস্থানে বিতরণ করছেন। নিজ উদ্যোগে মাইকিং, ব্যানার, ফেস্টুনও সটিয়েছেন বিভিন্ন এলাকায়। মোট কথা নৌকার পক্ষে এমন কোন প্রচারণা নাই, যেটা তিনি করছেন না। তার মতে ‘নৌকা জিতলে দেশ বাঁচবে। নৌকা ছাড়া আর কারোর কাছে এ দেশ নিরাপদ না। তাই দেশকে বাঁচাতে, উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) আমাদের প্রতিনিধির সাথে কথা হয়েছিলো এ নৌকা পাগল মানুষটার সাথে। নানা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে গিয়ে যুবলীগ নেতা মুন্না বলেন, একজন পাগলেও নিজের জিনিসটা ভালো বুঝে। শুধু আমরা বুঝিনা। সবার আগে আমার দেশ। এদেশ আমাদের সকলের। আমাদের দেশে যদি কোন সমস্যা থাকে, তাহলে আমরা নিজেরাই বসে সমাধান করবো। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষযে অন্যকোন দেশকে কথা বলার সুযোগ দেয়া ঠিক না। কিন্তু তারা সেটাই করছে। তারা ক্ষমতার মোহে পাগল হয়ে গেছে। আরে এ দেশই যদি না থাকে, যদি সার্বভৌমত্ব হারিয়ে যায়, তাহলে ক্ষমতা দিয়ে কি হবে? ওরা কোন দিনই আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, আর পারবেও না। মহান মুক্তিযুদ্ধে ওই আমেরিকা আমাদের বিরুদ্ধে ছিলো, আজও তারা দেশের বিরুদ্ধেই অবস্থান করছে। তাই আমি মনেকরি, এ নির্বাচনটা শুধু নির্বাচনই নয়, এটা হলো দেশ বাচাঁনোর আরও একটি সংগ্রাম। তাই সকল দেশবাসীকে ৭ তারিখে ভোটের মাধ্যমে এ সংগ্রামের অংশিদার হতে হবে। আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেটাই বুঝানোর চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি সত্যিই গর্বিত যে আমি একজন এমন নেতার পিছনে কাজ করছি, যার রক্তে মিশে আছে দেশপ্রেম। হ্যাঁ, আমি আমার নেতা শামীম ওসমান ভাইয়ের কথাই বলছি। তিনি শুধু নারায়ণগঞ্জের নয়, তিনি গোটা দেশের সম্পদ। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটা অনুধাবন করেই তার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছে। নৌকা এদেশের স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা এদেশে উন্নয়নের প্রতীক। তাই যেভাবেই হোক নৌকাকে বিজয়ী করতেই হবে, এর বিকল্প নাই।