পিতা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তি হওয়ার পর এবার বিলুপ্ত করা হলো পুত্র গোলাম মুহাম্মদ কায়সার রিফাতের জেলা কৃষকদলের কমিটি। বুধবার (১ জানুয়ারি) কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মো: শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেসি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। অতিসত্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের নতুন কমিটি গঠন করা হবে। আজ হতে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
জানাগেছে, গতবছর ১২ জানুয়ারি ডা. শাহীন মিয়াকে আহ্বাক ও গিয়াসপুত্র গোলাম মুহাম্মদ কায়সার রিফাতকে সদস্য সচিব করে দুই সদস্য বিশিষ্ট আংশিক জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। দীর্ঘ প্রায় এক বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এর মধ্যে গণমাধ্যমে একের পর এক উঠে আসে গিয়াসপুত্রের বির্তকীত কর্মকান্ড।
গিয়াসপুত্র রিফাতের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জের ইপিজেজের ঝুট সেক্টর দখল করাসহ আরও বেশ কিছু অভিযোগ। সেই অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে সমালোচিত বিষয়টি হলো ঝুটের গাড়ী ছিনতাই। গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রায় ১৩টি ঝুটের গাড়ীর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এদিন সন্ধ্যায় পৌনে ৬টার দিকে আদমজী ইপিজেডের উর্মি গার্মেন্টস থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদের ১৩টি জুটের গাড়ী বের হলে তা ছিনতাই করে নিয়ে যায় জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের পুত্র রিফাত ও তার লোকজন। ছিনতাইকৃত ১৩টি গাড়ী তিনটি স্থানে রাখা হয়। জালকুড়িতে ৩টি, মোগড়াপাড়ায় ৬টি ও মেঘনায় ৪টি গাড়ী রাখেন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী নিয়ে ১৩টি গাড়ীই উদ্ধার করতে সক্ষম হন শাহেদ। সেই ঘটনার তিন মাস পর বিলুপ্ত করা হলো রিফাতের কৃষক দলের কমিটি।
এর আগে চাঁদাবাজী, দখলদারিত্ব সহ নানা অভিযোগে বিলুপ্ত করা হয়েছিলো মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের জেলা বিএনপির কমিটি। গত ২৪ ডিসেম্বর এ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পিতার কমিটি বিলুপ্তির মাত্র ৯দিনের মাথায় পুত্রের কমিটিও বিলুপ্ত করা হওয়ায় এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির অঙ্গণে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কোন কোন নেতারা বলছেন, যেমন কর্ম তেমন ফল। বিএনপিতে যে কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজের স্থান নেই এটাই তার জলন্ত প্রমাণ। এ থেকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের শিক্ষা নিতে হবে। নয়তো, গিয়াস ও তার পুত্রের মতই অবস্থা হবে তাদেরও। আমরা জানি, এখনো বহুস্থানে বিএনপির নাম বিক্রি করে চাঁদাবাজী, দখলবাজী চলছে। আমরা তাদের সাবধান করে দিতে চাই, এখনও সময় আছে ভালো হয়ে যান। জনগণের সেবা করুন। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে চলুন। নয়তো, আপনাদেরও বিএনপিতে ঠাই হবে না। শুধু তাই নয়, আপনাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে। তাই আসুন, আমরা দলের ভারমুর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কর্মকান্ড থেকে নিজের বিরত রাখি।