বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ও প্রয়াত নেতাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে শহরের দেওভোগ ভূঁইয়া মার্কেটে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রয়াত নেতারা হলেন, মহানগর দর্জি শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি মীর হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলী দেওয়ান ও সহ সভাপতি আবুল কাশেম।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মহানগর শ্রমিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খান ও প্রধান বক্তা হিসেবে জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন অর রশীদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমরাই প্রথম শ্রমিক দল গঠন করি। সে সময়ে যারা আমাদের সহযোদ্ধা ছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই আজ চলে গেছেন। আপনারা তাদের জন্য দোয়া করবেন।
তিনি সকল নেতাকর্মীদের সর্তক করে বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাঁত করে বিগত সময়ে ১৭ বছর যারা এ মার্কেট থেকে চাঁদা নিয়েছে, তারা যেন দলে ঢুকতে না পারে। তারা কিন্তু আবারও দলের ঢুকার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই আপনরা খেয়াল রাখবেন কোন অবস্থাতেই যেন ওই চাঁদাবাজরা শ্রমিক দলের ঢুকতে না পারে।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর দর্জি শ্রমিক দলের সভাপতি মনির মল্লিক বলেন, যারা ষোল বছর এ মার্কেট থেকে চাঁদাবাজী করেছে, তারা আওয়ামী লীগের দোসর। আমাদের দলের নাম ভাঙাচ্ছে রুহুল আমিন নামে এক নেতা। তিনি কখনও আওয়ামী লীগ, কখনও জাতীয় পার্টি নাম ভাঙ্গিয়ে চলতো। এখন তিনি বিএনপির নাম বিক্রি করছে। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, গণপিটুনি দেয়া হবে।
তিনি শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আর বলেন, আপনারা যারা শ্রমিক আছেন তারা নির্ভয়ে কাজ করবেন। আমরা সব সময় এ মার্কেটকে এ ব্যবসাকে সচল রাখবো। কাজ করতে গিয়ে যদি কোন শ্রমিকের সমস্যা হয় আমাদের বলবেন। আমরা তার সমাধানের চেষ্টা করবো।
বক্তব্যে শেষে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও প্রয়াত নেতাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।
মহানগর দর্জি শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, দর্জি শ্রমিক নেতা মো: ওমর ফারুক খাঁন, মো: জাহাঙ্গীর, মো: নাসির, মো: সেলিম, মো: মহোসীন, মো: হযরত, মো: জামাল, নূরু ও হর্কাস শ্রমিক দল নেতা মো: ইসমাইলসহ মহানগর দর্জি শ্রমিক দলের সকল নেতাকর্মীরা।