নারায়ণগঞ্জ -৫ (সদর-বন্দর) আসনের প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম নাসিম ওসমানের কবর জিয়ারত করে প্রচারণায় নেমেছেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ফটো সাংবাদিক আমজাদ হোসেন। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় মাসদাইর সিটি কবরস্থানে তিনি এ কবর জিয়ারত করেন। এসময় তিনি নাসিম ওসমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ছাড়াও সকল কবরবাসীর জন্য দোয়া করেন।
কবর জিয়ারত শেষে আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনারা জেনে থাকবেন, এর আগেও আমি ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও করছি। নির্বাচনে হার-জিত থাকবেই। ফলাফল যাই আসুক মেনে নিবো। তবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো না। নির্বাচনের মাঠে আছি, ইনশাআল্লাহ শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তরুণ এ চেয়ারম্যান প্রার্থী আরও বলেন, আসলে সেই ১৯৯১ সাল থেকে যখন আমি স্কুলে পড়তাম, তখন আমার রাজনীতির শিক্ষাগুরু প্রয়াত জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম নাসিম ওসমান ভাইয়ের হাত ধরে আমার রাজনীতিতে আসা। তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পদপদবী না থাকলেও নাসিম ভাইয়ের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আমি সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করতাম। মূলত তার কাছেই শিখেছি কিভাবে জনগনকে সেবা করতে হয়, তাদের পাশে থাকতে হয়। আমি নাসিম ভাইয়ের এক আদর্শিক কর্মী হিসেবে এবং তার দেখানো পথে জনগণকে সেবা করতে চাই। এবং সেবায় ব্রত হয়েই মূলত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। যদি নির্বাচনে বিজয়ী হই, তাহলে আমার মূল কাজই থাকবে ইউনিয়ন পরিষদের গোটা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়া। তাই আমার ইউনিয়নবাসীর কাছে দাবি থাকবে, তারা যেন আমাকে চশমা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে তাদের সেবা করার সুযোগ করে দেন।
এর আগে সকালে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে সকল প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এবার এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমজাদ হোসেন ছাড়াও বাকি প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন, ফাইজুল ইসলাম ও পরেশ চৌধুরী।