বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি বন্যাদুর্গত এলাকার প্রায় বেশিভাগ মানুষ। এখনও তারা মরনপন চেষ্টা করছে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। কিন্তু বন্যার পানি যে তাদের কেড়ে নিয়েছে সবই। নেই অর্থ বস্ত্র ও বাসস্থান, দেখা দিয়েছে প্রচন্ড পরিমান খাবার পানির সংকটও। এ অবস্থান তাদের ত্রাণ সহায়তা খুব বেশি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাদেশ থেকে এখনও কিছু সংগঠন বন্যাদুর্গতের পাশে থেকে সহায়তা করে যাচ্ছে।
এদিকে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বন্যার্তদের পাশে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। বন্যার্তদের দু:খ লাঘবে তিনি তার সাধ্যমত ত্রাণ পৌছে দিচ্ছেন অসহায় সেইসব মানুষদের হাতে। আর এসব কাজে নিয়োজিত রয়েছেন জাকির খানের একনিষ্ঠ কর্মী নারায়ণগঞ্জ মহানগর মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু। জাকির খানের পক্ষে তিনি দফায় দফায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
জানাগেছে, গত ২৩ আগস্ট বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করার পর ফেনিতে প্রথমবার জাকির খানের ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২৭ আগস্ট জাকির খানের ত্রাণ পৌছে দেন কুমিল্লার বন্যাদুর্গত বিভিন্ন অঞ্চলে। সবশেষ ২৯ সেপ্টেম্বর লক্ষীপুর গোপীনাথপুর এলাকায় বন্যার্তদের ঘরে ঘরে জাকির খানের ত্রাণ পৌছে দেন মিঠু।
এ বিষয়ে মিঠু বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলেও দেখলাম তাদের অবস্থা আগের চাইতে আরও বেশি খারাপ হয়ে পড়েছে। খাবার পানি থেকে শুরু করে সব ধরনের খাবার সংকটে রয়েছে তারা। এছাড়া ঘর-বাড়ীর অবস্থাও একেবারেই নাজুক। এমতাবস্তায় তাদের পাশে দাঁড়ানোটা খুবই জরুরী। সরকার যতটুকু পারছে, দিচ্ছে। কিন্তু সরকারের পাশে আমাদের সবাইকে আগের মত তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নেতা জাকির খান শুরু থেকেই তাদের পাশে ছিলো আছে এবং থাকবে। সে ভীষণ অসুস্থতার মধ্যেও বন্যার্তদের জন্য আমাকে দিয়ে ত্রাণ পাঠিয়েছেন। শুধু আজকেই নয়, এভাবে তিনি কয়েক দফায় কয়েক জেলায় ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছেন। একটু চিন্তা করেন, একজন মানুষের মনে কতটুকু মানবিকতা থাকলে অসুস্থতার সময়ও অসহায় মানুষের কথা ভাবে। তার মত নেতা পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা তার দ্রুত রোগমুক্তি ও কারামুক্তির জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থণা করছি।
এসময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন, হেলাল উদ্দিন, আলী, ইমরান, সিরাজ, রাকিব, চাঁদপুর আলীগঞ্জের রাসেল, মো: রিয়াজ, মহিউদ্দিন ও স্থানীয় এলাকার মো: সাকিবসহ আরও অনেকে।