প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ১০টি সমঝোতা স্মারক ও নথি সই হয়েছে।
এর মধ্যে ৫টি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, ৩ সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ২ যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করেছে দুই দেশ।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।
‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্প সামনে রেখে কাজ করবে ভারত এবং বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দুই যৌথ কার্যক্রমের নথি সই করে বাংলাদেশ। এগুলো হলো- ১. বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা এবং ২. টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সবুজ অংশীদারত্বের বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক নথি সই।
নতুন ৫টি সমঝোতা স্মারক হলো
১. বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের সুনীল অর্থনীতি ও সমুদ্র সহযোগিতার বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ২. ভারত মহাসাগরের ওশানোগ্রাফির ওপর যৌথ গবেষণা ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিওআরআই ও ভারতের সিএসআইআরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক; ৩. বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর সমঝোতা স্মারক; ৪. যৌথ ছোট স্যাটেলাইট প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক এবং ৫. ডিফেন্স স্টাফ কলেজের মধ্যে একাডেমিক সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
নবায়নকৃত ৩ সমঝোতা স্মারক হলো
১. মৎস্যসম্পদ সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক নবায়ন; ২. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং ৩. স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক নবায়ন।