নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন বিসিক শিল্পাঞ্চলে একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নীট কনসার্ন গ্রুপের কেসি এ্যাপারেলস্ নামে কারখানার ৪র্থ তলায় এ অগ্নিকান্ড ঘটে। এসময় পুরো বিসিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কারখানার পোশাক সামগ্রীর ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। টানা প্রায় ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ফতুল্লা ফায়ার স্টেশন থেকে ২টি ইউনিট, মন্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশন থেকে ১ টি ইউনিট, পাগলা ফায়ার স্টেশন থেকে ১টি ইউনিটের সদস্যরা কাজ করেন।
কারখানাটির শ্রমিকরা জানান, দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ৪ তলায় হঠাৎ আগুন লাগে। সাথে সাথে ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো কারখানা ভবন। এসময় কারাখানার স্টাফরা তাদেরকে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন ও ধোয়া বেড়ে যাওয়ায় সব শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে যান।
শ্রমিকরা আরও বলেন, কারখানাটি সম্পূর্ণ আধুনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। কারাখানায় কোন প্রকার ধোয়া বা আগুনের উৎপত্তি হলে সাথে সাথে ইর্মাজেন্সি বেল বেজে উঠে। আর এ বেল বেজে উঠার কারণেই আজ আমরা প্রাণে বাঁচতে পেরেছি।
কারখানাটির ম্যানেজার তানজিল বলেন, আমি বাহিরে ছিলাম। খবর পেয়ে এসে আর কারখানায় প্রবেশ করতে পারেনি। এসে দেখি আগুন আর ধোয়া। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
তিনি জানান, যে ফ্লোরে আগুন লেগেছে, ওই ফ্লোরে কিছু মেশিনপত্র, কিছু ফেব্রিক্স আর পোশাক সামগ্রী ছিলো। কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এটা পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যাবে।
নারায়ণগঞ্জ মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহাম্মদ, বেলা ১২ টার দিকে কেসি এ্যাপারেলস্ নামে কারখানায় অগ্নিকান্ড ঘটে। ছয় তলা ভবনের ৪র্থ তলায় আগুন লাগে। আমরা প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। আমাদের ছাড়াও এখানে আরও ২টি ইউনিট কাজ করে। ওই ফ্লোর থেকে আমরা আগুন ছড়াতে দেই নি। অগ্নিকান্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি পরিমান তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।