ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত ও সাবেক সংসদ সদস্য এ.কে.এম শামসুজ্জোহার সহধর্মীনি, রত্নগর্ভা মা নাগিনা জোহা’র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাদ আসর নাগিনা জোহার বড় নাতি আজমেরী ওসমানের আয়োজনে তার কলেজ রোডস্থ বাসভবনের নিচ তলায় এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন >>> ঢাকায় আ.লীগের জনসভায় আজমেরী ওসমান সমর্থকদের শোডাউন
দোয়া পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আজমেরী ওসমানের পক্ষে মুকিত রহমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ভাষা সৈনিক মরহুম একেএম শামসুজ্জোহার সহধর্মিনী এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান, বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাসীম ওসমানের রত্মগর্ভা মাতা ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহা। আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন যেনো আল্লাহপাক ওনাকে বেহেস্ত নসিব করেন। এ ছাড়াও ওসমান পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য দোয়া প্রার্থনা এবং প্রয়াত সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। একই সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের প্রতিও দোয়া কামনা করা হয়।
আরও পড়ুন >>> বিএনপির অবরোধ: আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল
দোয়া মাহফিলে প্রয়াত ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহা সহ প্রয়াত একেএম শামসুজ্জোহা তাদের বড় সন্তান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের রুহের মাগফিরাত, নাসিম ওসমানের সহ ধর্মিনী পারভীন ওসমান, এমপি সেলিম ওসমান, এমপি শামীম ওসমান সহ ওসমান পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন আল্লামা ইকবাল রোড জামে মসজিদের খতিব মুফতি ওসমান গণি কসেমী।
আরও পড়ুন >>> হযরত শেরশাহ্ (রহ:)’র ওরশে আজমেরী ওসমানের অনুদান
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কাজি আমির, আব্দুল হামিদ , মোঃ নাসির, খায়রুদ্দিন মোল্লা, মঞ্জুর আহমেদ, আলম, বাবু, সুমন, মোঃ মনির হোসেন, মির্জা পাভেল, , মুকিত রহমান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন >>> আজমেরী ওসমানের বিজয় মিছিলে জনতার ঢল
প্রসঙ্গত, ভাষাসৈনিক ও রত্নগর্ভা মা নাগিনা জোহার ২০১৬ সালের এই দিনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ভাষাসৈনিক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মরহুম এ কে এম সামসুজ্জোহার সহধর্মিণী নাগিনা জোহার জন্ম ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেমনগরে। তাঁর বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজহিতৈষী, শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ও কাশেমনগরের জমিদার।