মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সপ্তাহ্ ব্যাপি বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করে দেওভোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন ‘সন্ধি। এসব ক্রীড়া প্রতিযোগীতার মধ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, মোরগ লড়াই, চকলেট দৌড়, দৌড় ও হাড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগীতা ছিলো অন্যতম।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে পশ্চিম দেওভোগস্থ সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে মহান বিজয় দিবসের দিন উৎসব মুখোর পরিবেশে সেই ক্রীড়া প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশরেন সাবেক প্যানেল মেয়র আসফানা আফরোজ বিভা (বিভা হাসান) ও প্রধান বক্তা হিসেবে বিশিষ্ট সমাজ সেবক মনির হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে সংগঠনটির উপদেষ্টা বাংলাদেশ নিটিং পার্টস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মো: আবু তাহের শামীম, মো: দুলাল মল্লিক ও মো: শামসুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন এবং দেশকে স্বাধীন করেছেন। যারা সমাজে ভালো কাজে হাত বাড়াবে আমরা সমাজের মুরুব্বী থেকে শুরু করে সবাই তাদের পাশে থাকবো। আপনারা যখনই আমাকে ডাকবেন, আমরা বিশেষ করে আমি আপনাদের ডাকে যতকাজই থাকুক না কেন ছুটে আসবো।

প্রধান বক্তা মনির হোসেন খান বলেন, বর্তমানে বিশেষ করে দেশের পট পরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারির সংখ্যা এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। আমি সামাজিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ করবো, সমাজ থেকে ছিনতাই ও মাদক নির্মূলে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আর এসব কাজে আমাদের যখনই ডাকবেন আমরা আপনাদের সহযোগীতা করবো।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মো: নূর উদ্দিন সাগর বলেন, আজ ষোলই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বিজয় একটা জাতির জন্য বিশেষ কিছু বহন করে। বিজয় দিবস হলো একটা জাতির পরিচয়। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে আমরা সেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলতে বসেছি। এ ইতিহাস ভুলে গেছে চলবেনা। এ ইতিহাস অবশ্যই মনে রাখতে হবে। আর বিজয় দিবসের এ ইতিহাসকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই মূলত আমাদের এ আয়োজন। এদিনে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চেষ্টা করি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দিতে।

তিনি বলেন, আমাদের সামাাজিক সংগঠন হলো অরাজনৈতিক সংগঠনক। সামাজিক সংগঠনের কাজ হচ্ছে সর্বসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকা। আমরা বিশ্বাস করি, একটা মানুষ যদি সংশোধন হতে পারে, তাহলে তার পরিবারকেও সে সংশোধন করতে পারবে। আবার একইভাবে একটা পরিবার যদি সংশোধন হতে পারে, তাহলে সমাজকে সংশোধন করতে পারে। আর সমাজ সংশোধন হলে দেশ সংশোধন করতে পারবে। এভাবে দেশ এগিয়ে যাবে।

বক্তব্য শেষে ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া শেষে সকলের মাঝে নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।

সন্ধি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি শাহীন হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ সভাপতি মো: মোমিনুল ইসলাম, মো: সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন পলাশ, কার্যকরী সদস্য মো: জুয়েল, মো: সুমন, দপ্তর সম্পাদক শংকর দাস, কার্যকরী সদস্য নাছির হোসেন, আকাশ, আরাফাত, কানাই, সিয়াম, শাহীন প্রমূখ।