বিএনপির চরম দুর্দিনে মাঠে থেকে আওয়ামী লীগ ও পুলিশবাহিনীর বহু হামলার শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: খোকন। হুমকি ছিলো প্রাণে মেরে ফেলার কিংবা গুম করে ফেলারও। কিন্তু তবুও মাথা নতো করেন নি তিনি। বরং আরও সাহসীকতার সাথে মাঠে সক্রিয় থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তোলেছেন। পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে হাসিনা বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন, কখনো মৃত্যুকে ভয় করেন নি। তাছাড়া বিনিময়ে দল থেকে কিছুই চান নি। শুধু নি:স্বার্থভাবে শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে দলের জন্য নিরলশভাবে কাজ করে গেছেন।

জানাগেছে, শহরের উত্তর চাষাঢ়া (চাঁনমারি) নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: খোকন। সেই ছোট বেলা থেকেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবেসে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। এরপর থেকে বিএনপির প্রতিটি মিটিং মিছিল ও সভা-সমাবেশে তার অংশগ্রহণ ছিলো চোঁখে পড়ার মত। সবচেয়ে বড় কথা খোকন যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন সেই একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান ও জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমান। প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের এলাকার বাসিন্দা হলেও কখনও কোনদিন তাদের সাথে আতাত কিংবা তাদেরকে ভয় করে বিএনপির রাজনীতি করেন নি খোকন। বরং তাদের সামনেই বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তোলেছেন। মাথা উঁচু করে রাজনীতির মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। কিন্তু দল কখনোই তাদের মত সাহসী ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করেনি।

তবে ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির পট পরিবর্তন হলে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার বিষয়টি দলটির শীর্ষ নেতা এমনকি দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে এসেছে। তিনি ইতোমধ্যে ত্যাগীদের মূল্যায়নের জন্য দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে জেলা ও মহানগর পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানাগেছে। তাই এবার সময় এসেছে সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকনদের মত ত্যাগী ও সাহসী নেতাদের মূল্যায়ন করার।

এ বিষয়ে খোকন বলেন, কিছু পাওয়ার জন্য কিংবা পদ পদবীর আশায় কখনো রাজনীতি করি নি। শুধুমাত্র শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ভালোবেসে বিএনপি করি। এতে দল যদি মূল্যায়ন করে ভালো, আর যদি মূল্যায়ন না করে কোন সমস্যা নাই। বিএনপি করি, করেই যাবো।