‘যে কখনো রাজনীতি করেনি এবং যারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো, তাদের নিয়ে জেলা শ্রমিক লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে করা এ কমিটি মেনে নেয়া হবেনা। আমরা অবিলম্বে এ কমিটি বিলুপ্তি করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
বুধবার (১০ জুলাই) বিকালে শহরের ২নং রেলগেটস্থ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একটি আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে এ অনুরোধ জানান জেলা শ্রমিক লীগের সদ্য সাবেক প্রচার সম্পাদক মো: বিপ্লব আহমেদ ও সহ ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো: সোহেল সরদার।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় ও শক্তিশালী দল। বর্তমানে এ দলটি ক্ষমতায় থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন। সুতরাং দলে এখনো এত দুরবস্থা তৈরি হয়নি যে, টাকার বিনিময়ে কমিটি দিতে হবে৷ যেখানে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেছেন, ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার কথা। যেখানে তারা টাকার বিনিময়ে কমিটি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাকেও অমান্য করেছেন। তাদের স্পর্ধা দেখে সত্যিই অবাক হচ্ছি। তারা আমাদের নেতা হতে পারেন, কিন্তু কেউ যদি শেখ হাসিনাকেই না মানেন, তাহলে সে যত বড় নেতাই হোক না কেন, আমরা তাদেরকে মানি না।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরও বলেন, দেখেন এমন একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে শ্রমিল লীগের গঠনতন্ত্রকে কোন তোয়াক্কাই করা হয়নি। কোন সম্মেলন নাই, কিচ্ছু নাই, গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে বিএনপির এজেন্টদের নিয়ে রাতারাতি একটি কমিটি গঠন করা হলো। আমরা পত্রিকায় দেখেছি, ধর্ষন মামলার আসামীকেও এ কমিটিতে ঠাই দেয়া হয়েছে। এটা শুধু শ্রমিক লীগই না, আমরা মনেকরি এটা গোটা আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্যও লজ্জাজনক। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি বলতে চাই, যেহেতু এ কমিটিতে গঠনতন্ত্র মানা হয়নি, সেহেতু নিসন্দেহে বলতে পারি, এ কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা এ কমিটি মানিনা, মানবো না।