শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

লোকনাথ বাবার তিরোধাম উৎসব পরিদর্শনে দেওভোগে না.গঞ্জ পূজা পরিষদ

সিটি নিউজ / ৯৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২ জুন, ২০২৪

দেওভোগে নানা আয়োজনে পালিত হলো শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবার ১৩৪তম তিরোধাম উৎসব। রবিবার (০২ জুন) দেওভোগে ঐহিত্যবাহী রাজা লক্ষী নারায়ণ আখড়ায় শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবার আশ্রম ও মন্দিরে এ তিরোধাম উৎসব পালিত হয়।

দেওভোগ শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার আশ্রম ও মন্দির পরিচালনা কমিটির আয়োজনে রবিবার সকাল ৬টা ১ মিনিটে ঊষা কীর্ত্তন, সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে বিশেষ পূজা ও অঞ্জলি প্রদান, সকাল ৯টা ১ মিনিটে বাল্যভোগ নিবেদন, সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে বাল্যভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হবে। সকাল ১১টা ১ মিনিটে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠের মঙ্গলাচরণ, দুপুর ১২টা ১ মিনিটে কীর্ত্তন, দুপুর ১টা ৩১ মিনিটে রাজভোগ নিবেদন, ২টা ৩১ মিনিটে রাজভোগ ও মহাপ্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যা ৭টা ৩১ মিনিটে আরতী কীর্ত্তন ও বিশেষ প্রার্থনা ও রাত ৯টা ৩১ মিনিটে ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এদিকে দুপুরের দিকে তিরোধাম উৎসব পরিদর্শনের আসেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, দেওভোগ শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার আশ্রম ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সভ্পতি প্রদীপ সরকার, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও দেওভোগ শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার আশ্রম ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র পাল, মহানগর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশিল দাস, সহ সভাপতি হিমান্ত সাহা হিমু, সহ সভাপতি উত্তম কুমার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শংকর রায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেওভোগ শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার আশ্রম ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণা আচার্য সহ একটি টিম।

তিরোধাম উৎসব পরিদর্শন শেষে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন বলেন, আজ বাবার তিরোধাম দিবস। সারাবিশ্বে এ দিবসটি পালন হচ্ছে। তিনি একজন মহাপুরুষ ছিলেন। আপনারা জানেন, তিনি আজকের এ দিনে বারদিতে দেহত্যাগ করেছিলেন। সেখানে আজকে বিশাল অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমরা গতকালকে সেখানে ছিলাম, আজকেও সেখানে পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা আছেন। আমাদের এ ঐহিত্যবাহী রাজা লক্ষী নারায়ণ আখড়ায় লোকনাথ বাবার মন্দির। সে মন্দিরে একটি চমৎকার কমিটি আছে। আমরা দেখলাম এখান সার্বিক পরিবেশ। প্রসাদ বিতরণ এবং বাবার যে ভোগ-আরতি হচ্ছে, সব কিছুই চমৎকার ভাবে হচ্ছে। এখানে যারা ভক্তবৃন্দ ও নেতৃবৃন্দরা আছেন, তাদের সাথে আমরা কুশল বিনিময় করছি। বাবার অনুষ্ঠানটা সফলভাবে সম্পন্ন হউক, এটাই আমাদের কাম্য। জগতের সমস্ত প্রাণী সুখী হউক, সবাই মিলে যাতে আমরা সুন্দর একটা বাংলাদেশ গড়তে পারি, সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারি এই হউক বাবার তিরোধাম দিবসের প্রত্যয়, সবার সহযোগীতা কামনা করি।

একই বিষয়ে মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও দেওভোগ শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার আশ্রম ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র পাল বলেন, বাবার তিরোধাম দিবসকে কেন্দ্র করে আমরা গতরাত থেকে সারারাত পরিশ্রম করে বাবার বাল্যভোগের মাধ্যমে আজকে দ্বিতীয় দিনের সূচনা হয়। সকাল থেকে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ আমাদের মন্দিরে উপস্থিত হয়েছে। তারা বাল্যভোগ নিয়েছেন এবং দুপুরে আমাদের রাজভোগের জন্য কয়েক হাজার রাজভোগের প্যাকেট হয়েছে। আমরা এভাবে ভক্তবৃন্দদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এ তিরোধাম উৎসবের মাঝে আমাদেরকে আরও সমৃদ্ধ করেছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। বিশেষ করে শিপন দা ও সুশিল দাসহ সভাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা সারাবিশে^র সুখ শান্তি কামনা করি। বাবার কাছে আমরা প্রার্থণা করি, বাবা যেন আমাদের একটি সুন্দরা সুখী সমৃদ্ধি বাংলাদেশ উপহার দেন। সবাইকে ভালো রাখেন।

দেওভোগ শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার আশ্রম ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণা আচার্য বলেন, আজ বাবার তিরোধাম উৎসব উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আমরা সবাই বিশেষ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক লিটন পাল, শিপন দা, সুশিল দাসহ সবাই অত্যান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি বাবার তিরোধাম উৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য। তবুও আমাদের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, তাহলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। গতকাল সারা রাত্র আমরাসহ আমাদের কর্মীরা সবাই ছিলো, রান্না-বান্না থেকে শুরু করে সকল কাজ যাতে সুন্দরভাবে সেগুলো তদারকি করেছে। কতটা সফল হয়েছি, তা উৎসব শেষে বুঝা যাবে।

এসময় উপস্থিত আরও ছিলেন, বিশ^জিত সাহা বিশু, তারক ঘোষ, অমর, জুয়েল, রপন, গৌতম, পঙ্কজ, শম্ভু, স্বপন, ইনা, রাজীব, গোবিন্দ ও ১৪নং ওয়ার্ড পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা।

প্রসঙ্গত, ১৮৯০ সালের (বাংলা ১২৯৭ সন) এই দিনে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের বারদীতে পরমপুরুষ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবা দেহত্যাগ করেন। তার এই মহাকাল প্রয়াণের দিনটিকে ভক্তি এবং শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে স্মরণ করার জন্যই প্রতিবছর এই উৎসব পালন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই