মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রাকিবুল রহমান সাগরের নেতৃত্বে বিশাল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে শহরের খানপুর এলাকা থেকে এ র্যালিটি বের করা হয়।
এর আগে সাগরের এ র্যালিকে কেন্দ্র করে খানপুর এলাকায় মহানগর ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে। এদিন সকাল থেকেই মহানগর ছাত্রদলের আওতাধীন বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে হাজার হাজার নেতকর্মী ও সমর্থক খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে খানপুর হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়। সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত হওয়ার পর সেখান থেকে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রাকিবুল রহমান সাগরের নেতৃতে বের করা হয় একটি বিশাল র্যালি। র্যালিতে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জাতীয় পতাকাসহ রঙ বেরঙয়ের ব্যানার ফ্যাস্টুন ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে ‘আজকের এ দিনে জিয়া তোমায় মনে পড়ে, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া লও লও লও ছালাম’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা নগরী। পরে র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহানগর বিএনপির মূল র্যালিতে যোগদান করে।
এর আগে র্যালিপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাগর বলেন, আজকের এদিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ জাতির সেইসব শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যাদের আত্মত্যাগে আজকে আমরা স্বাধীন জাতি। আমি তাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান কখনো অস্বীকার করা যাবেনা। বাঙালি জাতিকে শোষণ ও বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তির জন্য তিনি ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং দলমত, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আহ্বান জানান। জিয়াউর রহমানের এ ঘোষণা জাতিকে উজ্জীবিত করে। তিনিই প্রথম পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটান। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার জিয়াউর রহমানের সেই ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলো। কিন্তু যার নাম টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে সেই নাম কি কখনো মুছা যায়? যায়না। জিয়াউর রহমান আছে থাকবে, যতদিন এ দেশ আছে।