বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙ্গার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো: জাকির হোসেন। শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, যে নাম বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ হৃদয়ে রয়েছে, সে নাম কখনো কোনদিন মুছে ফেলা যায় না। যারা ভাবছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙ্গে তার নাম নিশানা মুছে ফেলবেন, তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করবেন। জিয়াউর রহমান শুধু একটি নামই নয়, জিয়াউর রহমান একটি স্বাধীন বাংলার রূপকার, একজন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, একজন বীর সৈনিক, একজন বীর উত্তম আর মহান স্বাধীনতার ঘোষক। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে হয়তো এদেশ কখনোই স্বাধীন হতো না। তিনি ছিলেন দিশেহারা বাঙালির আস্থার প্রতীক। আর তাইতো, তার এত জনপ্রিয়তা। যে জনপ্রিয়তা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর ৪৩ বছরেও মুছে ফেলা যায়নি। বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে জিয়াউর রহমান নামটি আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। জিয়াউর রহমান নামটি যেন তাদের একটা আতঙ্ক। আর তাইতো, তারা শহীদ জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলার মত এত ঘৃণিত কাজেও লিপ্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আসলে এ ধরণের ঘৃণিত কাজের নিন্দা জানানোর মত ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বলবো, আপনারা হয়তো ভাবছেন জিয়াউর রহমান শুধু বিএনপির একার। না, জিয়াউর রহমান সারা বাংলাদেশের অহংকার। আপনাদের এ ঘটনায় সারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। এ ঘটনা জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। এ কড়া জবাব জনগণ আপনাদের দেবেই দেবে। জিয়াউর রহমানের সৈনিকের পিছন থেকে নয়, ঘোষণা দিয়ে সামনা সামনি লড়াই করতে পছন্দ করে। তাই প্রস্তুত থাকুন, যে কোন সময় গণবিষ্ফোরনের মধ্যদিয়ে জনগণ এর প্রতিশোধ নেবে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মাহে রমজান চলছে। তাই রোজদারদের কথা চিন্তা করে হয়তো বিএনপির পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচির ঘোষণা আসেনি। কিন্তু ঈদের পর তারা আর বসে থাকবে না। আমার প্রাণ প্রিয় নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ আর্ন্তজাতির বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ভাইয়ের নেতৃত্বে আমার নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং সেই আন্দোলনে আপনারা জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পুন:স্থাপনে বাধ্য হবেন।