নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেছেন, আমাদের কম্পিউটার, ল্যাপটপ অনেক কিছু আছে। কিন্তু আমাদের ডিসিপ্লিন দরকার। লেখাপড়া শেখার অনেক বড় বিষয় হচ্ছে শৃঙ্খলা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা হল নৈতিকতা। সেই জায়গায় ঘাটতি রয়ে গেছে। আমি অফিসে দেরিতে যাচ্ছি, তার আগে বেরিয়ে আসছি। আমি যদি আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে সেটি না করাও কিন্তু নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ। আমার কাজ আমি করতে না পারলে সেটা নৈতিকতা সমর্থন করে না। শিক্ষার্থীদের কাজ ডিসিপ্লিন মেন্টেইন করা।
সোমবার (০১ জানুয়ারি) আই. ই. টি. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বই উৎসবে উপস্থিত হয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার ভাল লাগে বই দিতে বই পড়তে। আজকে শিক্ষার্থীদের হাতে ত্রিশ কোটি বই চলে যাবে। বিগত বছর ধরে আমাদের দেশে কোটি কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে। সরকার বই দিচ্ছে। ক্লাশ টেনের ছেলেদের কন্ট্রোলে রাখা মুশকিল। এই অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমি তাদের বলব, বই পড় ও খেলাধুলা করো।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে। আমি শুনেছি নারায়ণগঞ্জের একটি স্কুলে শিক্ষককে আঘাত করা হয়েছে। কখনও কোন শিক্ষার্থী চিন্তাই করতে পারবে না সে তার বাবা, মা ও শিক্ষককে আঘাত করতে পারে। আমাদের শিক্ষা জীবন থেকেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। নতুন কারিকুলাম নিয়ে অনেক কথা আছে। একজন অভিভাবক দেখলাম কারিকুলাম নিয়ে এমন চিল্লাচিল্লি করছে তা ভাইরাল হয়ে গেছে। আপনি যে সালে এসএসসি পাশ করেছেন, চোখটা বন্ধ করে দেখুন কয়জন এমএ পাশ করেছে। পাঁচ থেকে সাতজন। বাকিদের কেউ এসএসসি ফেল, এইচএসসি ফেল বা অনার্স পর্যন্ত গিয়েছে। কয়জন বিজ্ঞানি বা কয়জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আছে। নেই, খুঁজে পাবেন না। কারণ সেটা কোন শিক্ষা ব্যাবস্থা ছিল না। পৃথিবীর কোথাও মুখস্থ শিক্ষা ব্যাবস্থা নেই। বর্তমান ব্যাবস্থায় কেউ এসএসসি ফেল করার সম্ভাবনা নেই।