মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন: সকল বৈষম্য দূর করার আহ্বান সনাতনীদের

মিলন বিশ্বাস হৃদয় / ৪৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪

সারাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ীঘর ও মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে শহরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে হাজার হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।

রোববার (১১ আগষ্ট) বিকালে শহরের চাষাঢ়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন প্লাকার্ড দেখা গেছে। যেখানে তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া লেখা ছিলো। এসময় জাতীয় পতাকা হাতে হাজার হাজার সনাতনীদের শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে গোটা শহর। প্রায় ২০ মিনিটের মত সড়ক অবরোধের পর সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চাষাঢ়ায় এসে সড়ক অবরোধ করে।

এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন বলেন, সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং মন্দিরে মন্দিরে হামলা হচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে গুজব বলছে। কিন্তু গুজবই যদি হবে, তাহলে আপনারা মন্দির পাহারা দিচ্ছেন কেন? যেহেতু মন্দির পাহারা দেওয়া হচ্ছে, সেহেতু বুঝা যাচ্ছে মন্দিরে হামলার ঘটনাও ঘটছে। বর্তমানে আমাদের মন্দিরগুলো মুসলিম ভাইয়েরা মিলে মিশে পাহারা দিচ্ছে। এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। একটি স্বাধীন দেশে মন্দির কেন পাহারা দিতে হবে? প্রতিবারই যখন সরকার বদল হয়, তখনই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। তাই আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনসহ এদেশ থেকে সকল বৈষম্য দূর করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, আজকে হিন্দুদের বাড়ীঘরে হামলা চালানো হচ্ছে। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা দেয়া হচ্ছে। মন্দিরে তালা দেয়া হচ্ছে। কাশীপুরে আমাদের অশোক দার বাড়ীতে হামলা চালানো হয়েছে, শিপন দার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিলো। পরে বিএনপি ভাইয়েরা তালা খুলে দেয়। আমি তাদেরকে অভিবাধন জানাই। আড়াই হাজারে হিন্দুদের বিভিন্ন বাড়ীঘরে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। টানবাজারে হিন্দু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। আমরা সরকারে কাছে দাবি জানাচ্ছি এসবের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তারা দুষ্কৃতিকারি। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে যদি শাস্তি দেওয়া না হয়, তাহলে আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই দে, জেলা পূজা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণা আচার্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই