‘সমস্ত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রাজনৈতিক’ মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু বলেছেন, এ অঞ্চলে যত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। সমস্ত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রাজনৈতিক। অরাজনৈতিক কোন দাঙ্গা-পাঙ্গা বাংলাদেশে কিংবা এ অঞ্চলে হয় নাই। সমস্ত দাঙ্গার পেছনে থাকে রাজনীতি। কাজেই এ অপরাজনীতি করার সুযোগ আমরা বাংলাদেশে আর কাউকে দিতে চাই না। এ কারণেই আমরা একটু সচেতন থাকতে চাই, সজাগ থাকতে চাই। আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদের সজাগ করেছেন। তিনি বলেছেন, আপনাদের পাশে থাকতে। আমরা আপনাদের পাশে আছি।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) বিকালে শহরের শ্রী শ্রী রামকানাই জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় টিটু বলেন, একটা বিশেষ পরিস্থিতি এ সভাটি করতে হচ্ছে। গত ৫ তারিখের আগে যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে বাংলাদেশে। বৈষম্যবিরোধী যে আন্দোলন, সে আন্দোলনে অন্তত ৫ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ প্রাণ দিয়েছে। কাজেই তাদের অবদানকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি আদর্শিক সংগঠন, জাতীয়বাদী দল একটি আদর্শিক সংগঠন। আমাদের একটি ফিলোসফিয়া আছে জিয়াউর রহমান জাতীয়বাদকে তুলে ধরেছেন বিশ্বের দরবারে। মুসলমান হিন্দু ভাই ভাই। এটা কি মুখে বললেই হয়ে গেলো। আমরা সবাই মিলে একজাতি বাংলাদেশী। একমাত্র বিএনপি সমস্ত জনগোষ্টিকে এক জায়গায় আনার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে। দেখেন আমি মুসলমান, আমি কোন জায়গার মুসলমান? আমি বাংলার মুসলাম। আমি কিন্তু পাকিস্তানের মুসলমান না। আপনি হিন্দু, আপনি কোন জায়গার হিন্দু? বাংলার হিন্দু, বাংলাদেশীর হিন্দু। আপনারা কিন্তু ভারতের হিন্দু না। কাজেই আমাদের কমন গ্রাউন্ড হচ্ছে, আমরা বাংলাদেশীর মানুষ। আমরা একজাতি বাংলাদেশী।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে আমরা সার্বিকভাবে আপনাদের সহযোগীতা করি। যেহেতু একটা বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, তারা তৎপর থাকবে, তারা সজাগ থাকবে, সচেতন থাকবে। কিন্তু বিএনপির বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। বিএনপি তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যখনই ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে, তারা ভোট দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসিন করেছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধ শংকর কুমার দে’র সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পালন, সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে প্রমূখ।