বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ দোয়া ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (০২ জুন) দুপুরে ফতুল্লা থানাধীন উত্তর নরসিংপুর এলাকায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম। এছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে ‘জাকির খান মুক্তি পরিষদ’ নেতা মো: ফরিদ আহাম্মেদ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, মৎস্যজীবী দলের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মো: শাহ্ আলম, ‘জাকির খান মুক্তি পরিষদ’র আহ্বায়ক মো: সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম, মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হাজী মো: আনোয়ার, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো: মাহাবুব শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আব্দুর রহিম তার বক্তব্যে বলেন, আমি যখন দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতাম, তখন আপনাদের আস্থার প্রতীক তৎকালিন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সংগ্রামী সভাপতি জাকির খান আমার পাশে একটা অফিসে যেতেন। সেখানে চা খেতেন, আড্ডা দিতেন। সেই জাকির খানের স্মৃতি আমার কাছে অম্লান। একটি মিথ্যা মামলায় তিনি জেলে আছেন। আমি আপনাদেরকে সাক্ষি রেখে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জাকির খানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এবং সেই সাথে জাকির খানের মুক্তি দাবিও জানাচ্ছি।
প্রধান বক্তা ‘জাকির খান মুক্তি পরিষদ’ নেতা মো: ফরিদ আহাম্মেদ বলেন, জাকির খান এমন একটা প্রাণ, জাকির খান এমন একজন নেতা বাংলার ইতিহাসে বিরল। জাকির খান একজন আর্দশবান নেতা। তিনি যখন আমার সাথে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন, ওই অবস্থাতে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি করা হয়। তার এ উত্থান দেখে আমাদের দলের মধ্যেই ঘাপটে মারা কিছু দালাল চক্র, ওর নাম বলতেও আমার ঘৃণা লাগে। কি যেন বলে.. অন্ধকার না খন্দকার। ওরা একটি মিথ্যা মামলায় জাকির খানকে জড়িয়ে দেয় বন্ধুগণ। আমি ওই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
আরও পড়ুন>>> জাকির খানের নির্দেশে শহরে জেলা মৎস্যজীবী দলের লিফলেট বিতরণ
তৈমূর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, তৈমূর আলম খন্দকার আপনার ভাইয়ের সাথে আপনার জায়গা-জমি নিয়ে দ্বন্ধ ছিলো। এটা নারায়ণগঞ্জের অনেক সচেতন মানুষই জানে। আপনি তৈমূর আলম খন্দকার বলছেন, আপনার ভাই সাব্বির আলম খন্দকারকে নাকি ওমুকে মেরেছে। সাব্বির আলম খন্দকারের সাথেতো আপনারই দ্বন্ধ ছিলো। আমরা কোন হত্যাকে সমর্থন করি না। কিন্তু আপনারা নিজেরা নিজেরা কাম সেরে জাকির খানের নাম দিয়েছেন। জাকির খান আজ দীর্ঘ সময়ধরে কারাবাস করে চলছেন। দেশে যখন ছিলেন, তখনও বেশিরভাগ সময় জেলেই ছিলেন। তবুও ওই শকুনদের কাছ থেকে রেহায় পায়নি। একটি মানুষের জীবন যৌবন ওই কারাগারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটা আর মেনে নেয়া যায়না। আমরা অবিলম্বে জাকির খানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ তার মুক্তি কামনা করছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচ এম হোসেন সভাপতিত্বে ও সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনির মল্লিক, সেন্টু আহমেদ, সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি মো: কাউসার, জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সী মোহাম্মদ শাহাজালাল, সহ সভাপতি সলিমুল্লাহ্ হৃদয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: সাইফুল, সাংগঠনিক সম্পদাক মো: আল আমিন হৃদয়, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল বেপারী, সহ সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আদনান ইব্রাহিম, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, জাকির খান মুক্তি পরিষদ নেতা শেখ সালেহ আহমেদ রনি, হাজী সোহেল খান, এলকে রনি, বন্দর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি হাসান মাহমুদসহ আরও অনেকে।