নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে গণহত্যা দিবস পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও যুব ঐক্য পরিষদ। সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরতলীর বাড়ৈভোগ এলাকায় আলোক প্রজ্জ্বলনসহ আলোচনা ও বিশেষ প্রার্থণার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে সংগঠনটি। এছাড়াও এদিন রাত সাড়ে ৭ টায় শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা ও বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে ও জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস , সোনারগাঁ উপজেলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহদেব দাস শিশির,জেলার কোষাধ্যক্ষ ও শহীদ পরিবারের সন্তান পিন্টু রায়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পুজা পরিষদের সভাপতি প্রদীপ মন্ডল।
এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক অরুন দেবনাথ,নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি আনন্দ কুমার সেরাওগী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ভজন চন্দ্র দাস।
বক্তারা বক্তব্যের শুরুতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তারা আরো স্মরণ করেন ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার সকল বীর শহীদদের ।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেবার উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বীভৎস হত্যাকান্ড শুধু বাংলাদেশের নয় বিশ্বমানবতার ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে আখ্যা করেন। ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ ছিল বাঙালির একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। এমন গণহত্যা বিশ্বে আর কোথাও যাতে না ঘটে সে জন্য এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য বিশ্বের নেতৃবৃন্দের প্রতি জোর দাবী জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির পিতা যে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত ও উন্নত সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন। বাংলাদেশ আজ স্বল্প উন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন আমরা গণহত্যার শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার শপথ নিতে সকলকে আহবান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুজন চন্দ্র দাস, জেলার নেতা গোবিন্দ চন্দ্র দাস, রতন মন্ডল, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব কুন্ডু, তপন ঘোষ, মহিলা ঐক্য পরিষদের নেত্রী ফালানি বিশ্বাস,মালতি রানী ,দীপা দাস,সহ সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সাহা,অজয় সুত্রধর, যুব বিষয়ক সম্পাদক সুব্রত কুমার সাহা, ১৪ নং ওয়ার্ড ঐক্য পরিষদের সভাপতি পংকজ রায়, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত দাস, মহানগরের নেতা জয়ন্ত সাহা পিংকু, গৌতম দত্ত, গোবিন্দ সাহা,খোকন বিশ্বাস,কৃষ্ণপদ মজুমদার,সত্যরঞ্জন দেবনাথ,১০ নং ওয়ার্ড ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিমাই চন্দ্র চন্দ, সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ রায়,১১ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক খোকন বিশ্বাস, ,বিপুল পোদ্দার,শংকর দে, মহানগর যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি এড. অঞ্জন দাস,সাধারণ সম্পাদক রিপন কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন দত্ত বিল্লু,প্রণয় সিংহ, জ্যাকি নন্দী,সজিব ঘোষ,সজল বাবু,বন্দর যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি তুলশী ঘোষ,সাধারণ সম্পাদক জিতু দাস, রুপগঞ্জ উপজেলার সহ সভাপতি মিলন সরকার, মিলন বিশ্বাস হৃদয়, ভবন বর্মন,হিরন চন্দ্র দাস, মিঠু চক্রবর্তী, কিশোর দাস,রবি দাস,সুকুমার সুত্রধর, অজিত ঘোষ, শংকর দাস,অভিদাস, নিপেন চন্দ্র বিশ্বাস, মিঠু বিশ্বাস, বাবুল মল্লিক, সুমন ঘোষ, সজল পুরকায়স্থ সহ নেতৃবৃন্দ ।
আরও পড়ুন:
গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দু’দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে না.গঞ্জ ঐক্য পরিষদ
অসচ্ছল ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে না.গঞ্জ ঐক্য পরিষদের নগদ অর্থ বিতরণ