শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

লাখো শহীদদের প্রতি না.গঞ্জ ঐক্য পরিষদের শ্রদ্ধা

রিপোটারের নাম / ৭৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও যুব ঐক্য পরিষদ। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে চাষাঢ়াস্থ বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা শেষে সকাল ১১টায় শহরের ২নং রেলগেট এলাকাস্থ কাজী প্লাজায় ঐক্য পরিষদের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও মহিলা ঐক্য পরিষদের নেত্রী মমতা কর্মকারের সভাপতিত্বে ও জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত মন্ডলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি মি: পিন্টু পলিকাপ পিউরিফিকেশন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিচার্ড সৌরভ দেউরী ,নারী নেত্রী চঞ্চলা বর্মন ও সুমি রানী সাহা।

এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক অরুন দেবনাথ, বিপ্লব কুন্ডু,নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি আনন্দ কুমার সেরাওগী সুমন, সাধারণ সম্পাদক ভজন চন্দ্র দাস, মহানগরের সভাপতি এড. অঞ্জন দাস।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ৫৬-এর সংবিধান প্রণয়নের আন্দোলন, ৫৮-এর মার্শাল ল বিরোধী আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর বাঙালির মুক্তির সনদ ৬- দফার আন্দোলন, ৬৯-এর রক্তঝরা, গণঅভ্যুত্থানের পথ পেরিয়ে, ৭০-এর ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সবই বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জল ইতিহাসের মাইলফলক । পাকিস্তানী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছরের বেশি সময় কারাগারে অভ্যন্তরে থাকা, কয়েকবার ফাঁসির কাষ্ঠের মুখোমুখি, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় অসংখ্যবার কারা বরণ করার পরও এদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে প্রেরণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তার অপরিসীম সাহস, দৃঢ়চেতা মনোভাব ও আকর্ষণ নেতৃত্ব পরাধীন বাঙালি জাতিকে সংগ্রামী হওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল । ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়াদী উদ্যানের বক্তব্যে বাঙ্গালীদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে স্বাধীনতার অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিল ।

 

আরও পড়ুন: বর্ণাঢ্য আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করলো না.গঞ্জ ঐক্যপরিষদ

 

বক্তারা আরও বলেন, জাতির পিতার আহ্বানের সাড়া দিয়ে বাংলার সর্বস্তরে জনগণ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে । দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী গৌরবোজ্জল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাংলার জনগন অর্জন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ।পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির ২০ বছরের রক্তঝরা সংগ্রাম শেষে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে সারা বাংলার জনগণকে অপরিসীম ত্যাগের সম্মুখীন হতে হয়েছিল । বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য। তিনি জেল জুলুম হুলিয়া শত যন্ত্রণা দুঃখ কষ্ট বেদনাকে সহ্য করেও বাংলা কৃষক শ্রমিক জনতার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়েছেন ।

বক্তারা বলেন, বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এই তিনটি বিষয়কে বাংলার জনগণ এক বৃত্তে তিনটি চেতনার ফুল হিসেবে মনে করে । এই কারণে বিশ্বের মুক্তিকামি মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধু চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবেন এবং বাংলার জনগণের হৃদয়ে চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন ।

বক্তব্য শেষে লাখো শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি হরি সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুজন চন্দ্র দাস, সোনারগাঁ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সহদেব দাস শিশির,জেলার নেতা গোবিন্দ চন্দ্র দাস,মহানগরের নেতা তপন ঘোষ, মহিলা ঐক্য পরিষদের নেত্রী রত্না কর্মকার,দীপা দাস,মহানগরের সহ সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সাহা,অজয় সুত্রধর, যুব বিষয়ক সম্পাদক সুব্রত কুমার সাহা, ১৪ নং ওয়ার্ড ঐক্য পরিষদের সভাপতি পংকজ রায়, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত দাস, মহানগরের নেতা জয়ন্ত সাহা পিংকু, গৌতম দত্ত, জীবন সাহা, গোবিন্দ সাহা,খোকন বিশ্বাস, কৃষ্ণপদ মজুমদার, সত্যরঞ্জন দেবনাথ,১০ নং ওয়ার্ড ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিমাই চন্দ্র চন্দ, সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ রায়, ১১ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক খোকন বিশ্বাস, বিপুল পোদ্দার, শংকর দে, মহানগর যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিপন কর্মকার, জ্যাকি নন্দী,সজিব ঘোষ, সুমন ঘোষ, সজল রাজবংশী, বন্দর যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি তুলশী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক জিতু দাস,ননসুনীল দাস, ভবন বর্মন, হিরন চন্দ্র দাস,মিঠু চক্রবর্তী, কিশোর দাস,রবি দাস,নসুকুমার সুত্রধর, অজিত ঘোষ, মিঠু চক্রবর্তী, পনির বর্মনসহ নেতৃবৃন্দ ।

আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসে না.গঞ্জ ঐক্য পরিষদের আলোক প্রজ্জ্বলন, আলোচনা সভা ও প্রার্থনা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই