শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

বন্দরে মনু হত্যা, ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিটি নিউজ / ৬৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪

বন্দরে মদনপুরে ঝুট ব্যবসা, আদিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুজ্জামান কামু’র ছোট ভাই সন্ত্রাসী মনিরুজ্জামান মনু (৪২)কে নুরা মিয়ার সন্ত্রাসী তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে হত্যার ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মমালা হয়েছে।

শনিবার (৮ জুন) সকালে নিহত মনুর স্ত্রী সাবিনা বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৩(৬)২৪ ধারা- ১৪৩/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩০৭/ ৩২৩/৩২৫/৩৫৪/ ৩৮৯/ ৪২৭/ ৫০৬/ ১১৪/ ৩০২/ ৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।

এর আগে গত শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ড মুরাদপুর নিজ বাড়ির ওঠানে এ হত্যার ঘটনাটি ঘটে।
মামলার আসামিরা হলো, মুরাদপুর এলাকার নুরু ওরফে নুরু হাজীর ৫ ছেলে মনির, মিঠু, টিটু ফারুক, মোজাম্মেল, নুরু হাজী, একই এলাকার কাউসার, নাঈম, ফরহাদ, ফয়সাল, রায়হান, নুরুল, মোজাম্মেল, ইউনুস ও জনি।

বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও কুতুবপুর মামীর জানাজা শেষে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে মনিরুজ্জামান মনু মদনপুর মুরাদপুর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিল। এসময় আসামিরা মনুকে ঘর থেকে বাহির করে প্রথমে মাথায় গুলি করে ওঠানে ফেলে মাথায় একজন বসে থাকে এবং অন্যান্যরা কুপিয়ে ও লোহা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মনিরুজ্জামান মনু হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, গত এক যুগ ধরে ধারাবাহিক ভাবে নিহত মনুর বড় ভাই বাবুল আক্তার , ছোট ভাই নূরুজ্জামান নুরা ও বড় দুই বোন নিলুফা এবং সনিয়া সহ চার ভাইবোন প্রতিপক্ষ শীর্ষ সন্ত্রাসী সুরুত আলী বাহিনীর হাতে খুন হয়েছেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুজ্জামান কামু’র সাভাবিক মৃত্যু হলেও হত্যা সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আবুল পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। তার পর থেকে মনু এলাকা ছেড়ে কাপাসিয়া বিয়ে বিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতো।

স্থানীয় গার্মেন্টসের ঝুট বয়বসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত বৃহস্পতিবার মনুর মামীর মারা গেছে। এ খবর পয়ে মনু পাশ্ববর্তী সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরের কুতুবপুর এলাকায় তার মামীর জানাজায় অংশ নেয়। শুক্রবার সকালে মনু মুরাদপুর নিজ বাড়িতে আসে। মনু’র বাড়িতে অবস্থান এখবর পেয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ তার বাড়িতে ঢুকে ঘর থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে ওঠানে ফেলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর আগে নিহত মনুর মা রেহেনা বেগম ও পিতা কামালউদ্দিন খুন হয়েছিলেন প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী হাতে। নিহত মনুর ৫ ভাইয়ের মধ্যে কামু, নুরা, আবুল ও বাবুল চার ভাই একের পর হত্যাকান্ডের শিকার হলেও পরিবারের শেষ প্রদীপ মনিরুজ্জামান মনু অবশেষে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছেন। নিহত মনু,র এক ছেলে ও এক মেয়ে।

 

আরও পড়ন>>> বন্দরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই