ধলেশ্বরী নদীর জায়গা দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডাব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট ও হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
এসময় এক্সাভেটর দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা। দখলমুক্ত করা হয় নদী তীরের দখলকৃত জায়গা। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক। অভিযানে অন্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মো: মুস্তাফিজুর রহমান, উপ-পরিচালক মো: মোবারক হোসেন মজুমদার, সহকারী পরিচালক এসএম সাজেদুর রহমান সহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীকে তার পুরানো সীমানায় ফেরানোর জন্য আজকে এই অভিযান। ২দিন ব্যাপী এই অভিযান চলবে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী তীরবর্তী মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট থেকে হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় নদীর জায়গা দখল করেছে এমন ১০৩টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়। এসব উচ্ছেদের ২দিনের অভিযানে প্রথমদিন বুধবার অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, উদ্ধার হওয়া জায়গায় মানুষের চলাচলের জন্য ওয়াকওয়ে ও বৃক্ষরোপণ করা হবে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়দিনে এই অভিযানে বাকি অবৈধ স্থাপনা গুলো উচ্ছেদ করা হবে। তাদের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযানে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসাা প্রতিষ্টানগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি জ¦ালানি তেলের দোকান, চায়ের দোকান, একটি খাবারের হোটেল সহ অন্যগুলো চায়ের টং দোকান।