নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দিনেদুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামীসহ আরও নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩০ জুন) রাতে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো- নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকার শান্তিনগর ভোলাইল এলাকার মোহাম্মদ জিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হাবিব(২০), কাশিপুর এলাকার মোহাম্মদ মারফত আলীর ছেলে মোঃ সোহেল (৩০), উত্তর কাশিপুর এলাকার আনোয়ার হোসেন মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ ফয়সাল মোল্লা (৩২), ফতুল্লা থানা এলাকার আঃ গফুর এর ছেলে মাসুদ (৫২), কাশিপুর এলাকার জামাল এর ছেলে বাপ্পি (২৩), কাশিপুর এলাকার আঃ সাত্তার এর ছেলে জামাল (৪৮), গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার মনোহরপুর এলাকার মজিবুর রহমান এর ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আনার (২৪), জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার পাঁচগ্রাম এলাকার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ ওয়াসেল হোসেন নাহিদ (২৭) ও ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার বইলব এলাকার আজউদ্দিন এর ছেলে কাইয়ুম (২২)। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে জড়িতদের চিহ্নিত করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এই নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় র্যাব ও পুলিশের অভিযানে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৩ জনকে।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরের ফতুল্লা থানার আলীপাড়া এলাকায় ইট বালু সিমেন্ট সহ ইমারত নির্মান সামগ্রি সরবরাহ ব্যবসার নিয়ন্ত্রন, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেয়ায় কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ মিয়ার সাথে স্থানীয় সন্ত্রাসি সালাউদ্দিন সালু ও তার ভাই আলাউদ্দিন হীরার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এর জের ধরে গত ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) দুপুরে স্থানীয় আলীপাড়া মসজিদে জোহর নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে হীরা ও সালুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসি সুরুজ মিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় সুরুজ মিয়াকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসিদের হামলায় আহত হন তার দুই ছেলেসহ চারজন।
ঘটনার পরদিন ২৮ জুন (শুক্রবার) নিহত সুরুজ মিয়ার ছেলে বাদি হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ সহ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামী করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করেন।