ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করায় বন্দরে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে বন্দর হাফেজীবাগ এলাকা থেকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের পক্ষে এ মিছিলটি বের করা হয়। বন্দর ২২নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের ব্যানারে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে এ মিছিলকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে শত শত নেতাকর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে হাফেজীবাগ এলাকায় জড়ো হতে থাকে। নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার পর সেখান থেকে বের করা হয় বিশাল এক আনন্দ মিছিল। মিছিলটি শাহী মসজিদ, রাজবাড়ী, জামাইপাড়া ও ঐতিহাসিক সিরাজউদ্দৌল্লাহ্ ক্লাব মাঠসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে বন্দর বাজার এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ বিগত দিনে নানা অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। সবকিছু বিবেচনা রেখে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমরা এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আমি মনেকরি সরকারের এ সিদ্ধান্তে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।
এ সময় ‘ছাত্রলীগের চামড়া তুলে নেব আমরা, পালাইছে রে, পালাইছে, ছাত্রলীগ পালাইছে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই’সহ নানা শ্লোগান দিয়ে উঠেন নেতাকর্মীরা।
পরে প্রধান অতিথি আরও বলেন, আমার প্রাণপ্রিয় নেতা জাকির খানের পক্ষে আজকে যারা এই আনন্দ মিছিলের আয়োজন করেছে, তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, অতিতে যেভাবে আপনারা মাঠে ছিলেন, যতদিন না এদেশে গণতন্ত্রের সরকার গঠন না হবে, ততদিন পর্যন্ত আপনারা মাঠে থাকবেন। আর একটি কথা, ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হলেও তাদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। তাই চাইবে, দেশের শান্তি আবারও বিনষ্ট করতে। তাই আপনারা সেই দিকেও খেয়াল রাখবেন এবং শক্তহাতে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। আমি আজকের এই আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ থেকে আমাদের বন্দর ২৩নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আলীসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি চাই এবং সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্ব প্রতাহারেও দাবি জানাই।
বন্দর ২২নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো: ইমরান খানের সভাপতিত্বে মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সানোয়ার হোসেন, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ পাপ্পু আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রনী, বন্দর থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ছোটন খান, মহানগর মৎস্যজীবী দল নেতা মো: সানী, বন্দর থানা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সদস্য হেলাল, মো: মিলন, ২২নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান খোকন, ২২নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দল নেতা রিপন, বাবু, ইমান, মহিউদ্দিন, মনির, মনতাজ, মামুন, জাহাঙ্গীর, জুমান, ইমরান পাঠান, ২৩নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী জাকির, চান মিয়া, কাউসার, আজিম, সিদ্ধেশ্বর থানার বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ্ আমান, সাইফুল, বন্দর থানা বিএনপির নেত প্রিয়ার আলী, আব্বাস দেওয়ান, কামাল, মোঃ রাসেল মিয়া, আব্দুল রহমান, সেলিম, সবুজ, জাকির, মোঃ খোরশেদ, মোঃ খায়রুল, সুভাষ দাস সাগর দাস, মোঃ মিঠু, নাজির প্রমূখ।