দীর্ঘদিন ধরে হদিস নেই নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের। তবে কি মাঠ থেকে হারিয়ে গেলেন তারা? এমনই সব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ রাজনৈতিক অঙ্গণে।
জানাগেছে, ৫ আগস্টের পর মাত্র দু’একটি কর্মসূচি ছাড়া আর মাঠে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের। গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক মানববন্ধনে শেষ বারের মত দেখা যায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানকে। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা।
ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিনকে জবাই করে হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে এবং হামলাকারিদের গ্রেফতারের দাবিতে ওই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান। ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদারের সভাপতিত্বে ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর প্রায় দুই মাস হতে চললেও আর কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের। এ নিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গণে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। তারা বলছেন, কোথায় হারিয়ে গেলেন তারা? তারা কি হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন নাকি? যেখানে বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ফ্যাসিস্টদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মাঠে পাহারাদার হিসেবে কাজ করছে, সেখানে তাদের কোন হদিসও পাওয়া যাচ্ছেনা। এটা সত্যিই দু:খজনক।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা কোথায় এবং কেন মাঠে নামছেন না? এ বিষয়ে আমাদের কাছে তেমন কোন তথ্য নেই। তবে এইটুকু বলতে পারি, তারা যতই ব্যস্ততার মধ্যে থাকুক না কেন, সংগঠনের কার্যক্রম এগিয়ে তাদের নৈতিক দায়িত্ব। কেননা, তারা সংগঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তারা যদি সংগঠন চালিয়ে নিতে না পারে তাহলে ছেড়ে দিক। অন্যকোন নেতাকে দিয়ে সংগঠনটির কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে নেয়া যাবে। কিন্তু সংগঠনের বড় বড় পদ দখল করে মাঠে না থাকাটা সত্যিই দু:খজনক। এ বিষয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতাদের অবগত করা হবে। তারাই ঠিক করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায়।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৯ আগস্ট মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক, সালাহউদ্দিন সালুকে সদস্য সচিব ও রফিকুল ইসলাম রফিককে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর একই বছর ১৫ অক্টোবর ৫১ সদস্য বিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।