নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেছে আদালত। আগামীকাল ২১ নভেম্বর আসামীদের পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় এ পরীক্ষা করা হবে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। তবে এদিন মামলার আসামী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে আদালতে আনা হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির জানান, আজ আদালতে সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জাকির খানের বিরুদ্ধে তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্যপ্রদান করেছেন। তারা হলো মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। এ মামলায় মোট ১২জন তদন্তকারি কর্মকর্তা ছিলো। তার মধ্যে মূল তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট চার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত ২১ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামীকাল মেডিকেল কর্মকর্তা আসবেন। হয়তো, তিনি আদালতকে সাব্বির আলম খন্দকারের পোস্টমার্টেমের রিপোর্ট দিবেন।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল এ মামলায় ৩৪২ আর্গুমেন্ট হবে এবং ২৬ তারিখে এ মামলার ফাইনাল আর্গুমেন্ট হবে। এরপরই রায় ঘোষণা করা হবে। ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও তার স্বজনরা ছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ সাক্ষী পর্যন্ত কেউ জাকির খানের সম্পৃক্ততার কথা বলেনি। তাই আমাদের বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বিচার সঠিক হলে ইনশাআল্লাহ্ এ মাসেই জাকির খান খালাস পাবেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজির মন্ডল বলেন, আজ সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় তিনজন তদন্ত কর্মকর্তা যথাক্রমে শাহাজালাল মুন্সী, শরীফ সামসুল হক ও মো: মনির উদ্দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মামলায় ৫২ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২১ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। পর্যাপ্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড হয়েছে মনে করায় বিচারক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন। আগামীকাল ২১ নভেম্বর আসামীদের পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় এ পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে বরাবরের মত এদিনও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে আদালত পাড়ায় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ভীড় জমায়। এ সময় এক প্রতিক্রিয়ায় নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা সহ গোটা নারায়ণগঞ্জবাসী অধিক আগ্রহে আছেন কখন জাকির খান মুক্তি পাবেন। কখন আমাদের প্রিয় নেতাকে প্রকাশ্যে জনসমুক্ষে এসে ভাষণ দিবেন। জানি সেদিনটি খুবই সংনিকটে। তবুও যেন ধৈর্য কোলাচ্ছেনা। পারিনাতো, আজই আমাদের সাথে জাকির খানকে নিয়ে যাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ‘জাকির খান মুক্তি পরিষদ’র আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচএম হোসেন, জাকির খান মুক্তি পরিষদ নেতা আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর মহানগর মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি কাউসার আহমেদ, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সালেহ আহমেদ রনি, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সী মো শাহজালাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আল আমিন হৃদয়, সহ সভাপতি আজিজুল হক, দপ্তর সম্পাদক আদনান ইব্রাহিম, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: খোকন, মো: সুমন, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সলিমুল্লাহ হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল বেপারী, সহ সভাপতি সোহাগ রাজ প্রমূখ।