বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সংগঠক ফারহানা মানিক মুনা বলেছেন, বাংলাদেশে যে ১৫৩টি অমীমাংসিত নদীচুক্তি, এই নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় আমরা প্রত্যেক নদীচুক্তির মীমাংসা চাই। বাংলাদেশ-ভারতের যে সীমান্ত, সেই সীমান্ততে ফেলানী কেন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো তার বিচার চাই। আমরা বন্ধুত্ব কোনোভাবেই ফেলানী ও আবরারের লাশের ওপর দিয়ে করবো না।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি বইয়েও পড়েছি স্বাধীনতা অর্জনের থেকে রক্ষা করা কঠিন। আমরা এখন স্বাধীনতা রক্ষা করার ক্লান্তিলগ্নে আছি। যেই হাজারো ভাইয়ের রক্তের ওপর দিয়ে এই নতুন বাংলাদেশের যাত্রা আমরা শুরু করেছি, সেই যাত্রাকে ভুলন্ঠিত করার জন্য বাংলাদেশের মানুষের মর্যাদাকে বিনষ্ট করার জন্য চারপাশে নানান কুচক্রী মহল আমাদের ওপর চেপে বসার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রকে আমরা এই বাংলাদেশে ঠাঁই দিবো না। এখন সেই ষড়যন্ত্র আপনারা ধর্মের নামে করেন, জাতির নামে করেন বা বর্ণের নামে করেন। আমরা বাংলাদেশের ছাত্র জনতা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং এই ঐক্যবদ্ধতায় যেমন আমরা স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করতে পেরেছি , সেই ঐক্যবদ্ধতা নিয়েই আমরা বাংলাদেশের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো।
আমরা দেখেছি ৫ই আগস্ট যখন স্বৈরাচার পলায়নের সময় আসলো তখনই আমরাদের পার্শ্ব রাষ্ট্র যাদেরকে আমরা মিত্র রাষ্ট্র বলি, সেই রাষ্ট্র গণহত্যাকারি একজন খুনিকে আশ্রয় দিলো। এই আশ্রয় দেওয়ার মধ্যেই ভারত সরকার প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে অবস্থান করে না। যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, হত্যাকারীর পক্ষে অবস্থান নেওয়া বিজিবি সরকার ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে আমরা বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাখ্যান করি। ভারতীয় কোনো আধিপত্যের নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হবে না।